শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ

কর্মব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকতে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে আমরা অনেকে অসুখ বিসুখের সম্মুখীন হচ্ছি।এসব থেকে রক্ষা পেতে আমাদের করনীয় পদক্ষেপ সমূহ আলোচ্য পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ
প্রতিটি ঘরে ঘরে অসুস্থতার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। শরীরে বাসা বাঁধছে বিভিন্ন রোগ বালাই। এ রোগ বালাই থেকে মুক্তি পেতে চলুন জেনে নেই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ।

ভূমিকা 

দৈনন্দিন জীবনে আমরা এত কর্মমুখী হয়ে যাচ্ছি যে আমরা আমাদের নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রাখতে ভুলে যাচ্ছি। ফলে আমরা অতিবাহিত করছি একটা অনিয়ন্ত্রিত জীবন। অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে আমরা অনেকে অসুখ বিসুখের সম্মুখীন হচ্ছি। ভুলে যাচ্ছি আমাদের খাবারের কথা, আমাদের সঠিকভাবে ঘুমানোর কথা সর্বোপরি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে যেসব কাজ করণীয় সেগুলো।

এসব করনীয় কাজ জীবন থেকে আমরা নিজের অজান্তেই হারিয়ে ফেলেছি যার ফলে প্রায় প্রত্যেক পরিবারে কেউ না কেউ কোনও না কোনও রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। এইসব রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তির উপায় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। আজকের আলোচ্য অংশে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ এর মধ্যে প্রথমটি হল পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ। সুস্থ থাকতে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের বিকল্প নেই। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবারের উপস্থিতি থাকা বাঞ্ছনীয়। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আমাদের শরীর যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার থেকে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন ও মিনারেলস পায়।

সব উপাদানের সমন্বয়ে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। খাবারের বিভিন্ন উৎস থেকে আমরা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপাদান গুলো পেয়ে থাকি যেমন,

দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে

দুধ একটি সুষম জাতীয় খাবার । পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে সুষম খাবারের তালিকায় প্রথমে আসে দুধ। আমাদের দৈহিক ও মেধা বিকাশের জন্য দরকার ল্যাকটোজ যা আমরা পাই দুধ থেকে। এছাড়াও দুধে আছে ভিটামিন, অ্যামাইনো এসিড, খনিজ পদার্থ যেমন আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, কোবাল্ট, ক্রোমিয়াম, আয়োডিন ও জিংক। দুধের অন্যতম উৎস হচ্ছে গরু।

গরুর দুধে প্রোটিন থাকে ৩.৫%,ল্যাকটোজ থাকে ৪.৮%, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে ০.৭ %, আর পানি থাকে ৮৬.৫% । গরুর দুধের সবচেয়ে বেশি উপকারী যে উপাদানটি থাকে সেটি হল ক্যালসিয়াম। এ ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরে হাড়ের জন্য খুবই উপকারী। আমরা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় দুধকে রাখছি না অথচ এই দুধ পান আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে বেশি আদর্শ খাবার।

একজন মানুষকে দৈনন্দিন গড়ে ২৫০ মিলিলিটার দুধ পান করা উচিত। ভিটামিন ডির একটা ভালো উৎস হচ্ছে দুধ আর ভিটামিন ডি আমাদের হাড়, নখ, চুল, দাঁত ও ত্বকের পুষ্টি যোগায়। এছাড়াও ভিটামিন ডি সব বয়সী মানুষেরই চোখের জন্য খুব উপকারী। তাহলে বুঝাই যাচ্ছে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দুধ খাদ্য তালিকায় থাকা কতটা জরুরী।

ভিটামিন 'বি' এবং 'সি' জাতীয় খাবার গ্রহণ

ভিটামিন বি এর কয়েকটা ভাগ আছে যেমন ভিটামিন B1, B2, B5, B6 এবং B12। ভিটামিন B1 পাওয়া যায় বাদাম, তেল, বীজ, টাটকা ফল, ডাল, আটা, মাছ, যকৃত, ডিম ও দুধে। ভিটামিন B2 পাওয়া যায় সবুজ শাকসবজি, গাছের কচি ডগা, ডিম, দুধ, চকলেট এবং অঙ্কুরিত বীজ থেকে। ভিটামিন B6 পাওয়া যায় মাছ, মাংস, শাকসবজি, ডিমের কুসুম, ছত্রাক, আটা ও চালে।

ভিটামিন B12 পাওয়া যায় মাংস, ডিম, পনির, চকলেট, দুধ, মাছ ইত্যাদিতে । ভিটামিন বি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে, স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে, লিভার স্বাস্থ্য বজায় রাখে, চুল ও ত্বকের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে, বিপাকে উন্নতি করতে সাহায্য করে, ডিমনেসিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে, কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে, ক্লান্ত বিষণ্ণতা থেকে আমাদের রক্ষা করে, অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন হ্রাস রোধ করতে সাহায্য করে, এবং হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।


ভিটামিন 'সি' তে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের ডিএনএ ও কোষকে রক্ষা করে। আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে ভিটামিন 'সি। 

এছাড়াও ভিটামিন 'সি' এর আরও কিছু উপকারিতা নিচে দেওয়া হল,

  • ত্বক, দাঁত ও চুল ভাল রাখতে সাহায্য করে।
  • সাধারণ সর্দি-কাশিতে ভিটামিন 'সি' অনেক ভাল কাজ করে।
  • হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে যার ফলে হার্ট অ্যাটাক ঝুঁকি কমায়।
  • হাড়ের ক্ষয় বা ভঙ্গুর হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করে ভিটামিন 'সি'।
  • চোখকে ভাল রাখে চোখে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে।
  • শরীরে চর্বি কাটতে সাহায্য করে।
  • শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন শোষণে সহায়তা করে।
  • ত্বকের টিস্যুর গঠনে সরাসরি সাহায্য করে।
  • শরীরে যেকোনো জায়গায় ক্ষত খুব দ্রুত সাড়তে সাহায্য করে।
ভিটামিন 'সি' এর অভাবে যেসব রোগ বালাই হয়,

  • খুব সহজেই শরীরে ক্লান্তি ভাব চলে আসে।
  • স্কার্ভি এর মতো রোগ দেখা দিতে পারে।
  • বিরক্তিভাব এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
  • পেশিতে বা গিঁটে ব্যথা হয়।
  • ত্বক ও চুল শুষ্ক হয়ে যায়।
  • দেহে কালশিটে দাগ পড়ে যায়।
  • প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়।
  • সমস্ত শরীর ফুলে যায়।
  • ক্ষত নিরাময়ে বিলম্ব হয়।
যেসব খাবারে ভিটামিন 'সি' পাওয়া যায় সেগুল হল, লেবু, পেয়ারা(৩৭৭ কিলো ভিটামিন ‘সি'), পাকা পেঁপে( ৯৫.৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’),শাক, আলু (৭২.৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’),পাতিলেবু, আমলকি, কমলা প্রভৃতি।

ব্যায়াম এর মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ছাড়াও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর আরেকটি উপায় ব্যায়াম। ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করার কিছু নিয়ম এবং সময় আছে। এর অতিরিক্ত করা আবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটি একটি অভ্যাসের ব্যাপার। ব্যায়াম বা শরীরচর্চা এক একজনের জন্য একেক রকম হতে পারে। ব্যায়াম বা শরীর চর্চার সঠিক ব্যবহার বুঝে যদি করা যায় তাহলে শরীর ও মন প্রফুল্ল থাকে।

বলা হয়ে থাকে ব্যায়াম মানুষের শরীর সুস্থ রাখার একটি মেডিসিন। প্রেম বা শরীর চর্চা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরে যেকোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের সাথে লড়তে সাহায্য করে এর কারণ ব্যায়াম বা শরীর চর্চা আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে ভালো রাখতে সরাসরি ভূমিকা রাখে।

আমাদের শরীরে যখন কোন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে তখন আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে সেই ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসকে ধ্বংস করে। ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এই কারণে আমাদের শরীরের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া কেউ পরোক্ষভাবে এই ব্যায়াম বা শরীর চর্চা ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও ব্যায়ামের আরো কিছু উপকারিতা আছে যেমন,

  • ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত চলাচল ভালো হয়।
  • শরীরে শ্বেত কণিকা সংখ্যা বাড়ে যা আমাদেরকে শরীরকে জীবাণুর সাথে লড়তে সাহায্য করে।
  • ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করলে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস প্রবাহ ভালো থাকে।
  • যারা নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করে তাদের সহজে সর্দি কাশি বা ভাইরাসজনিত জ্বর হয় না।
  • ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করলে আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি পায়।
  • ব্যায়াম বা শরীরচর্চা আরেকটা বড় দিক হলো আমাদের মানসিক অশান্তি দুশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখে যা সরাসরি প্রভাব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাথে জড়িত।
  • প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে হাঁটলে আমাদের ওজন যেমন নিয়ন্ত্রিত থাকবে তেমনি আমাদের চোখে দৃষ্টি শক্তিও ভালো থাকবে।

নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকা

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য শুধুমাত্র পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ব্যায়াম এসব যথেষ্ট নয় আমাদের কিছু জিনিস থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে সেগুলো হল নেশা জাতীয় কোন দ্রব্য। নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন আমাদের শরীরকে তিনদিন করে নষ্ট করে দেয় ভেঙে ফেলে আমাদের অটোইমিউন সিস্টেম। যার ফলে আমাদের শরীরে রোগ বালাই আক্রমণ করতেই থাকে। নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবনের কিছু ক্ষতিকর দিক আছে সেগুলো হল,

  • স্মরণশক্তি মনোযোগ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়
  • যৌন শক্তি নষ্ট করে দেয়
  • আত্মহত্যা প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়
  • লিভার এবং কিডনি জনিত সমস্যা দেখা যায়
  • দৃষ্টিশক্তি এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাসে ভূমিকা রাখে
  • ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়
এছাড়াও নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবনে আরো অনেক ক্ষতিকর প্রভাব আছে তাই আমাদের এ থেকে বিরত থাকতে হবে।

অটোইমিউন ডিজিজ আছে কিনা পরীক্ষা করা

অটোইমিউন সিস্টেম হল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায় যেটা আমাদের শরীরে অটোমেটিক থাকে। এই সিস্টেম আমদের শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করে। এই সিস্টেম কাজ না করলে এটাকে বলে অটোইমিউন ডিজিজ। অটোইমিউন ডিজিজ হলে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমণ ছাড়ায় শরীরে রোগ বালাই হবে।

তখন আমাদের অটোইমিউন সিস্টেম উপকারী কোষকেও ক্ষতিকর কোষ মনে করে আক্রমণ করবে।অটোইমিউন ডিজিজ শুধুমাত্র একটি অর্গানকে আক্রমণ করে। তাই আমাদের অটোইমিউন ডিজিজ আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখা উচিত। এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কার্যকরী পদক্ষেপ এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।
মহিলাদের মধ্যে সাধারণ অটোইমিউন রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে,
  • রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসঃ এক প্রকার বাতের ব্যথা যা জয়েন্টগুলোতে আক্রমণ করে।
  • সোরিয়াসিসঃ এটি ত্বকের পুরু, আঁশযুক্ত ছোপ দ্বারা চিহ্নিত একটি অবস্থা।
  • সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিসঃ এক ধরনের বাত যা সোরিয়াসিসে আক্রান্ত কিছু লোককে প্রভাবিত করে থাকে।
  • গ্রেভস ডিজিজ সহ থাইরয়েড রোগঃ যেখানে শরীর অত্যধিক থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে (হাইপারথাইরয়েডিজম) এবং হাশিমোটোর থাইরয়েডাইটিস যেখানে এটি যথেষ্ট পরিমাণে হরমোন তৈরি করে না (হাইপোথাইরয়েডিজম)।

সঠিক সময়ে ঘুমানো

আমাদের শরীর সারাদিন কর্মব্যস্ততার পর বিশ্রামের দরকার হয়। এই বিশ্রাম আমাদের অটো ইউনিয়ন সিস্টেমকে আলো এবং স্বাভাবিক রাখে। এই বিশ্রাম নেওয়ার কিছু নিয়ম আছে। প্রত্যেকটি মানুষকে বয়স ফেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে। বিশ্রাম বা ঘুম আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সরাসরি জড়িত। পূর্ণবয়স্ক মানুষকে দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার।

শিশুদের ৯ থেকে ১৩ ঘণ্টা আর নবজাতক বাচ্চাদের ঘুমানো দরকার ১২ থেকে ১৭ ঘণ্টা। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম আমাদের শরীরের টক্সিন নামক পদার্থ বের করে দেয় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আমরা যারা সময় মত ঘুমাতে পারি না বা যাদের অনিদ্রা সমস্যা আছে তাদের বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায় যেমন,

  • মেজাজ খিটখিটে ও বিষণ্যতা ভর করে।
  • অনেকের ডায়াবেটিস হয়ে যায়।
  • রক্তচাপ ও হৃদরোগ হওয়া সম্ভব না দেখা যায়।
  • ওজন অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি।
এই অনিদ্রা একটা মানুষের জন্য খুবই খারাপ বার্তা নিয়ে আসে তাই এই অনিদ্রাকে দূর করা আমাদের প্রথম কর্তব্য। আমরা এ অনিদ্রা দূর করার কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কে জানি,

  • ঘন ঘন চা কফি পান করা থেকে দূরে থাকা।
  • নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়ার অভ্যাস করা।
  • একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই ফোন ল্যাপটপ এসব ব্যবহার করা এরপর আর না করা।
  • ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া যেমন ডার্ক চকলেট, বাদাম ইত্যাদি।
  • মেলাটোনিন যুক্ত খাবার খাওয়া যেমন আখরোট, বেদানা, টমেটো, শসা, ব্রকলি ইত্যাদি।
  • প্রতিদিন কলা, গরম দুধ এবং মধু খাওয়া।

লেখকের মন্তব্য

সবশেষে বলতে পারি সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প কিছু নেই। আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে এবং প্রতিযোগ বাড়ানোর ক্ষমতা আমাদের প্রাকৃতিকভাবেই যেন হয়। সেজন্য আমাদের মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম যা আমরা উপরোক্ত পোষ্টের মাধ্যমে জানলাম। প্রিয় পাঠক যদি আপনাদের এই পোস্টটি পড়ে ভালো লেগে থাকে এবং উপকার হয় তাহলে আপনি আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং আমার পেজটি ফলো করে সাথে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url