ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার সম্পর্কে যা জানা জরুরি

আমাদের সমাজের প্রত্যেকটি মেয়েকে ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার সম্পর্কে যা জানা জরুরি আজকের আলোচ্য অংশ তা নিয়ে। ক্যান্সার আমাদের জীবনের জন্য একটি মরণব্যাধী। এর ব্যাপারে সমাজের প্রত্যেক স্তরের মানুষের সম্যক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার সম্পর্কে যা জানা জরুরি
ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার সম্পর্কে যা জানা জরুরি তা নারীর প্রজনন ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত জরুরি বিষয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এর সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা।

ভূমিকা

বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার নারী বর্তমান সময়ে ওভারিয়ান ক্যান্সার এর মত একটি চ্যালেঞ্জিং রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। একে প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা কঠিন তাই একে ''নিরব ঘাতক'' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আজকের আলোচ্য অংশে ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার সম্পর্কে যা জানা জরুরি তার মধ্যে ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার কি এবং এর কারনসহ চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। 

ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার কী?

ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার হচ্ছে একটি কোষের অস্বাভাবিক ফলাফল যা শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশে আক্রমণের ক্ষমতা রাখে। এটি ডিম্বাশয়কে সংক্রামিত করে। একে প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা খুব কঠিন হয়ে যায় কারন এটি কোন উপসর্গ দেখায় না। মহিলাদের মধ্যে এটি একটি অনকোলজিকাল মেডিকেল অবস্থা।

ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের কারণ

ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার সম্পর্কে যা জানা জরুরি তার মধ্যে এর কারন জানা খুব জরুরি। কারন না জানলে এর প্রতিকার সম্পর্কে জানা যাবেনা। এই ক্যান্সারের এখন পর্যন্ত সঠিক কারন না জানা গেলেও কিছু কারন আছে যেগুলোর কারনে এই ক্যান্সার হতে পারে,
  • মহিলাদের বয়স ৬০ এর বেশি এ ক্যান্সার এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
  • মহিলাদের বাড়তি ওজন এ ক্যান্সার এ আক্রান্ত হওয়ার সাথে যুক্ত।
  • পারিবারিক ইতিহাস থাকলে এ ক্যান্সার এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে যেমন বিআরসিএ 1/2 জিনের মত মিউটেশনে আক্রান্ত কোন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় যদি থাকে।
  • প্রথম গর্ভাবস্থায় যদি কেউ গর্ভবতী না হয় সে ক্ষেত্রেও সম্ভাবনা আছে।
  • এছাড়াও মাসিক না হওয়া, কম মাসিক চক্র, মৌখিক গর্ভনিরোধক ওষুধ, বুকের দুধ খাওয়ানো,একাধিক গর্ভধারণ করা এবং অল্প বয়সে গর্ভাবস্থা এসবের কারনেও ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার হতে পারে।
  • কেউ যদি হিস্টেরেক্টমির মতো গাইনোকোলজিকাল সার্জারি করে থাকে।
  • অনেক সময় জরায়ুর আবরনের বাইরে অস্বাভাবিক টিস্যু বৃদ্ধি পায় একে বলে এন্ডোমেট্রিওসিস।এর ফলেও ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার হতে পারে।

ওভারিয়ান ক্যান্সারের লক্ষণ

ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার সম্পর্কে যা জানা জরুরি তার মধ্যে এর লক্ষণগুলি আমদের জেনে নেওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে যেসব লক্ষন দেখা যায় টা হল,
  • পেট ফোলা: ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার হলে পেট ফোলা অথবা পেটের আকার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং এটি প্রায়ই হজমের সমস্যা বা ওজন বৃদ্ধির জন্য হয়ে থাকে।
  • পেলভিক ব্যথা: ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের একটি সাধারণ লক্ষণ ক্রমাগত পেলভিক ব্যথা বা অস্বস্তি। এই অস্বস্তিভাব ক্রমাগতও হতে পারে বা আসা যাওয়ার মধ্যেও থাকতে পারে।
  • ঘন মূত্রত্যাগ: ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের আরেকটি লক্ষণ ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, জরুরী অনুভূতি বেড়ে যায়।
  • অব্যক্ত ওজন হ্রাস: উল্লেখযোগ্যহারে ওজন হ্রাস পায়। এটি একটি উদ্বেগজনক লক্ষণ ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার এর ক্ষেত্রে। এটি কারণ শরীরের বিপাকের উপর ক্যান্সারের একটা প্রভাব থাকে।
  • অন্ত্রের অভ্যাসের পরিবর্তন: ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার অন্ত্রের অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটাতে পারে, যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া হতে পারে এবং মলত্যাগের সময় অস্বাভাবিক পেটে অস্বস্তি অনুভব হয়।
  • ক্ষুধামান্দ্য: ওভারি বা ডিম্বাশয় ক্যান্সারের  বিশেষ একটি  লক্ষণ হল  ক্ষুধামান্দ্য হওয়া। এ সময়  মানুষের যে স্বাভাবিক মেটাবলিজম বা খাদ্য হজম প্রক্রিয়া থাকে যা খাবারকে ভেঙ্গে তা থেকে শক্তি উৎপাদন  করে সে প্রক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায়।  
  • যোনিপথে রক্তপাত: ওভারি বা ডিম্বাশয় ক্যান্সারের প্রাথমিক আরেকটি  লক্ষণ  হোল  স্বাভাবিক  মাসিক সাইকেল ছাড়াও যেকোনো সময় যোনিপথে রক্তপাত হয়। 
  • লোয়ার ব্যাক পেইন: এ সময় লোয়ার ব্যাকে বা কোমরের নীচের দিকে ব্যথা অনুভব হয়। এটি একটি ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণ। 

ওভারিয়ান ক্যান্সারের পর্যায়

ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার সম্পর্কে যা জানা জরুরি তার মধ্যে এর স্টেজগুলো সম্পর্কে জানলে আমদের বুঝতে সুবিধা হবে।

স্টেজ ১ঃ এক্ষেত্রে ক্যান্সারের টিউমার সীমাবদ্ধতা থাকে ডিম্বাশয় এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্যে। এ পর্যায়ে তিনটি উপশ্রেণী দেখা যায়,
  • পর্যায় 1A- এ পর্যায়ে টিউমারের বৃদ্ধি কেবল ডিম্বাশয়ের মধ্যে থাকে।
  • পর্যায় 1B- এ পর্যায়ে এটি ডিম্বাশয় এবং টিউব উভয় জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।
  • পর্যায় 1C- এ পর্যায়ে টিউমারের বৃদ্ধি ডিম্বাশয়ের বাইরের পৃষ্ঠে বা ডিম্বাশয়ের চারপাশে তরলে দেখা যায়।
স্টেজ ২ঃ এ স্টেজে ক্যান্সারের টিউমার ডিম্বাশয়ের বাইরে ছড়িয়ে পরতে শুরু করে। এক্ষেত্রে দুটি পর্যায় দেখা যায়।
  • পর্যায় IIA- এ পর্যায়ে ক্যান্সারের টিউমার জরায়ু বা ফ্যালোপিয়ান টিউবে ছড়িয়ে পড়ে অর্থাৎ ডিম্বাশয় থেকে সংলগ্ন প্রজনন কাঠামোতে এটির সরাসরি সম্প্রসারণ হয়।
  • পর্যায় IIB- এ পর্যায়ে ক্যান্সারের টিউমার প্রজনন অঙ্গের বাইরে অন্যান্য পেলভিক টিস্যুতে পৌছায়।
স্টেজ ৩ঃ এ স্টেজে ক্যান্সারের টিউমার শ্রোণীচক্র অতিক্রম করে পেটের আস্তরণে (পেরিটোনিয়াম) বা লিম্ফ নোড পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। এক্ষেত্রে পর্যায়গুলি হল,
  • পর্যায় IIIA1- এ পর্যায়ে ক্যান্সারের টিউমার রেট্রোপেরিটোনিয়াল (পেরিটোনিয়ামের পিছনে) লিম্ফ নোড বা পেলভিক লিম্ফ নোডগুলিতে উপস্তিথি পাওয়া যায়। এর আকার ১০ মিমি বা তার চেয়ে ছোট হয়ে থাকে। সর্বোচ্চ মাত্রায় এটি ১০ মিমি অতিক্রম করতে পারে।
  • পর্যায় IIIA2- এ পর্যায়ে ক্যান্সারের টিউমার মাইক্রোস্কোপিক ছড়িয়ে থাকে যা ইমেজিং বা অস্ত্রোপচারের সময় বোঝা যায়।
  • পর্যায় IIIB- ক্যান্সারের 2 সেমি আকারের টিউমার ইমপ্ল্যান্ট পেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে।
  • পর্যায় IIIC- এ পর্যায়ে ক্যান্সারের 2 সেমি আকারের বড় টিউমারের ইমপ্ল্যান্ট থাকে যা লিম্ফ নোডগুলিকে প্রভাবিত করে। এ পর্যায়ের চিকিৎসা পদ্ধতি ডিবুলিং নামে পরিচিত। এ চিকিৎসার প্রাথমিক লক্ষ্য হল যতটা সম্ভব ক্যান্সার দূর করা।
স্টেজ ৪ঃ এ স্টেজে ক্যান্সারের টিউমার দূরবর্তী অঙ্গগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে পর্যায়গুলি হল,
  • পর্যায় IVA- এ পর্যায়ে ক্যান্সারের টিউমার ফুসফুসের গহ্বরে ছড়িয়ে পড়ে যায়। ফুসফুস এটি ধারণ করে থাকে।
  • পর্যায় IVB- এ পর্যায়ে ক্যান্সারের টিউমার পেরিটোনিয়াল গহ্বরের বাইরের অঙ্গগুলিতে মেটাস্টেসাইজ অবস্থায় থাকে। উদাহরণ হিসেবে প্লীহা বা লিভার (অঙ্গের ভিতরে), ফুসফুস বা ডিম্বাশয়ের কাছাকাছি এবং লিম্ফ নোডগুলিতে। এ পর্যায়ের চিকিৎসা করা খুব কঠিন।

ওভারিয়ান ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি

ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার সম্পর্কে জানার মধ্যে এর চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানা জরুরি। এর ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি সাধারণত নির্ভর করবে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের পর্যায় এবং রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে। ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার ক্ষেত্রে দেখা যায় এর চিকিৎসা পদ্ধতি খুব উন্নত পর্যায়ে নির্ণয় করা হয় এবং চ্যালেঞ্জিং।


এর চিকিৎসা পদ্ধতির ধাপগুলো নিচে দেওয়া হল,

সার্জারিঃ সার্জারি ব্যবহার করা হয় মূলত যখন রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করতে হয়, ক্যান্সারের পর্যায় মূল্যায়ন করতে হয় এবং ক্যান্সার কোষ অপসারণ করতে প্রয়োজন পড়ে। সার্জারির কয়েকটা পদ্ধতি বা ধাপ আছে যেমন,
  • সালপিঙ্গো-ওফোরেক্টমি: এই পদ্ধতিতে ডিম্বাশয় এবং ফ্যালোপিয়ান টিউব অপসারণ করতে হয়। একে ডিবুলিং করা বলা হয়। ক্যান্সার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে কিন্তু কোন মহিলা যদি ভবিষ্যতে গর্ভবতী হতে চান তবে সে ক্ষেত্রে দেখতে হবে যদি ক্যান্সার শুধুমাত্র একটি ডিম্বাশয়ে থাকে তাহলে শুধুমাত্র একটি ডিম্বাশয় এবং একটি ফ্যালোপিয়ান টিউব অপসারণ করতে পারবেন। আবার যদি কোন মহিলার একটি ডিম্বাশয়ে টিউমার থাকে, তখন প্রয়োজন শুধু টিউমার ধারণকারী যে ডিম্বাশয়টি থাকে সেটি সরানো, যাতে মহিলার গর্ভবতী হওয়ার ক্ষমতা বজায় থাকে।
  • হিস্টেরেক্টমি: এই পদ্ধতিতে জরায়ু এমনকি প্রয়োজন হলে পার্শ্ববর্তী টিস্যু সরানো হয়। আংশিক হিস্টেরেক্টমির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জরায়ু অপসারণের প্রয়োজন হয় কিন্তু একটি সম্পূর্ণ হিস্টেরেক্টমির সময় একজন মহিলার জরায়ু এবং সার্ভিক্স পুরটায় আলাদা করার প্রয়োজন পড়ে।
  • লিম্ফ্যাডেনেক্টমি/লিম্ফ নোড ব্যবচ্ছেদ: এই পদ্ধতিতে একজন ডাক্তার পেলভিক আর প্যারাওর্টিক যায়গার লিম্ফ নোডগুলি অপসারণ করে থাকেন।
  • অমেন্টেক্টমি: একটি পাতলা টিস্যু থাকে যা পেট এবং অন্ত্রকে রক্ষা করে এই পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের সময় সেটা অপসারণ করা হয়।
  • সাইটোরেডাক্টিভ সার্জারি: যেসব মহিলাদের ডিম্বাশয়ের পাশাপাশি ক্যান্সার শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে থাকে তারা এই সার্জারি করে থাকেন। এক্ষেত্রে লিভার, প্লীহা এমনকি ছোট অন্ত্র বা কোলনের অংশ সহ আশেপাশের অন্যান্য অঙ্গগুলি থেকেও টিস্যু অপসারণ করা হতে পারে। এমনও হতে পারে প্রতিটি অঙ্গের কোন অংশ কেটে ফেলা লাগতে পারে।
কেমোথেরাপি: চিকিৎসার কার্যকারিতা উন্নতি করতে পরবর্তী পদক্ষেপ কেমোথেরাপি। এক্ষেত্রে ক্যান্সার যদি ডিম্বাশয়, ফ্যালোপিয়ান টিউব বা পেরিটোনিয়ামের বাইরে ছড়িয়ে পরতে থাকে তাহলে ডিবুলিং সার্জারির আগে টিউমারকে সংকোচন করার প্রয়োজন পড়ে এর জন্য ডাক্তাররা কেমোথেরাপি ব্যবহার করে থাকে। 

কেমোথেরাপি ওষুধ ডিজাইন করা হয়েছে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করার জন্য। কেমোথেরাপির ওষুধ, মুখে নেওয়া হয় আবার ইনজেকশন হিসেবেও নেওয়া হয়। তবে যেভাবেই নেওয়া হোকনা কেন এটি পুরো শরীরকে প্রভাবিত করে। কেমোথেরাপি আরেকটি বিকল্প আছে সেটি হলইন্ট্রাপেরিটোনিয়াল। 

এই প্রক্রিয়ায় কেমোথেরাপির ওষুধ একটি টিউবের মাধ্যমে সরাসরি শরীরের ভেতর ক্যান্সারযুক্ত স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়। আরেক ধরনের কেমোথেরাপি আছে যার নাম নিওঅ্যাডজুভেন্ট কেমোথেরাপি। এক্ষেত্রে কেমোথেরাপি অস্ত্রোপচার আগে দেওয়া হয় টিউমারকে সংকুচিত করার জন্য।

লক্ষ্যবস্তু থেরাপি: পুনরাবৃত্ত বা উন্নত ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এই থেরাপি ব্যবহার করা হয়। এই থেরাপির কাজ ক্যান্সার বৃদ্ধির সাথে জড়িত নির্দিষ্ট কোষ যা ক্যান্সারের বিস্তারে সহায়তা করে সেগুলোকে ফোকাস করে প্রতিকূল প্রভাবগুলি সীমিত করা।

বিকিরণ থেরাপির: রেডিয়েশন বা বিকিরণ থেরাপিতে এক্স-রের সাহায্য নিতে হয় ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করার জন্য। এই পদ্ধতি ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের প্রাথমিক চিকিৎসা না হলেও নির্দিষ্ট পরিস্তিথি অনুযায় ব্যবহার হতে পারে। পেরিটোনিয়ামে একটি তেজস্ক্রিয় তরল ইনজেকশন দেওয়ার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। যেসব মহিলারা উন্নত ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত তারা এই চিকিৎসায় উপকার পেতে পারেন।

ইমিউনোথেরাপি (বায়োথেরাপি): এই থেরাপির মুল উদ্দেশ্য শরীরের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করা ক্যান্সারের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। এক্ষেত্রে এমন ওষুধ দেওয়া হয় যা টিউমারকে খুঁজে বের করে ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার এর ক্ষেত্রে সচেতনতা

  • চেষ্টা থাকতে হবে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার যেন প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে সফল চিকিৎসা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যার ফলে দীর্ঘমেয়াদী বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
  • সঠিক চিকিৎসা নেওয়া যাতে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কিত উপসর্গগুলি উপশম করা যায়, যেমন পেটে ব্যথা এবং অস্বস্তি লাগা।
  • সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় খুব জরুরি। এক্ষেত্রে চিকিৎসক বন্ধু, পরিবার এবং অন্যান্য সহায়তা গোষ্ঠীর নেটওয়ার্কগুলির সাথে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। এটি ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে মানসিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সহায়তা করবে।
  • চিকিৎসার সময় একটা সাধারণ বিষয় লক্ষ্য করা যায় এর সাথে সম্পর্কিত উদ্বেগ, বিষণ্ণতা এবং মানসিক যন্ত্রণা বৃদ্ধি পায়। এ সময় মনস্তাত্ত্বিক পরিষেবাগুলি গ্রহণে কোন কমতি রাখা যাবে না।
  • আর্থিকভাবে সচ্ছল রোগীরা স্ট্যান্ডার্ড থেরাপির চেয়ে অত্যাধুনিক চিকিৎসার অ্যাক্সেস লাভ করতে পারে যা বেশি কার্যকরী হওয়ার সম্ভাবনা রাখে।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার সম্পর্কে যা জানা জরুরি তার সম্যক ধারণা আমরা পেয়েছি। প্রাথমিক পর্যায়ে এ ক্যানসার ধরা পড়লে এটির সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতির অনুসরণের মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব। তাই আমাদেরকে বিশেষ করে মহিলাদেরকে এ ব্যাপারটি খুব গুরুত্বের সহকারে দেখতে হবে। এই পোষ্টটি আপনাদের ভাল লেগে থাকলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই পেইজটির সাথে থাকুন। আরও জানতে কমেন্ট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url