বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কার্যকারী গাইডলাইন এবং ধারণা

আপনি যদি একজন বিসিএস পরীক্ষার্থী হন তাহলে আপনার জন্য নিয়ে এসেছি বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কার্যকারী গাইডলাইন এবং ধারণা যা আপনাকে আপনার বিসিএস পরীক্ষার অংশ নিতে সাহায্য করবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 
বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কার্যকারী গাইডলাইন এবং ধারণা
নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত প্রায় সবার জীবনে একটা স্বপ্ন থাকে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার কিন্তু সঠিক গাইডলাইনের অভাবে বিসিএস প্রস্তুতি নিতে বার্থ হয়। আজকের আলোচনায় বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কার্যকারী গাইডলাইন এবং ধারণা সম্পর্কে বলা হয়েছে। চলুন দেরি না করে মুল পর্বে যাওয়া যাক। 

ভূমিকা

বিসিএস পরীক্ষা দীর্ঘ সময় ক্ষেপণকারী একটি প্রক্রিয়া। এই পরীক্ষা অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অনার্স পরিবর্তী সব ধরনের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে থাকে। অনেকেই আছে যারা চাকরির পাশাপাশি বিসিএস প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজকের আলোচনায় বিসিএস প্রস্তুতি যেভাবে শুরু করবেন, অনার্স থেকে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি, চাকরির পাশাপাশি বিসিএসের প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বলা হয়েছে। 

অনার্স থেকে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি

যারা জীবনের লক্ষ্য ঠিক করেছেন যে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার তাদের উচিত ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা পাসের পর অনার্সের শুরু থেকেই বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা। এটাই হবে মোক্ষম সময় নিজের প্রস্তুতিকে নিখুঁত করে তুলবার জন্য। 


বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মোট অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পাস করানো হয় মাত্র ৫% থেকে ১০% প্রার্থীকে। তাই এই অল্প সংখ্যক পাসের হারের মধ্যে নিজেকে রাখতে হলে প্রথমে দরকার একটি গোছানো রুটিন। এই বিষয়ে আলোচনা নিম্নরূপ,

সিলেবাস আত্মস্থ করা 

সবার প্রথমে যেটা করতে হবে সেটা হল পিএসসি প্রণীত বিসিএস এর সিলেবাসটিকে খুব ভালভাবে আত্মস্থ করতে হবে। এরপর যেসব জায়গায় দুর্বলতা আছে সে জায়গাগুলো আগে ঠিক করতে হবে।

রুটিন মাফিক পড়াশোনা

সিলেবাস আত্মস্থ করা হয়ে গেলে প্রয়োজন একটা সুন্দর রুটিন তৈরি করা। রুটিন কিভাবে করবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার। আপনার সুবিধা অনুযায়ী রুটিন করে ফেলবেন। রুটিনে অবশ্যই প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য একটা সময় নির্ধারণ করতে হবে এবং নিজকে অবশ্যই রুটিন ভালভাবে মেনে চলার জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে। 

নিজের মধ্যে কোন রকম একঘেয়েমি আনা যাবেনা। খেয়াল রাখতে হবে যেন রুটিন অনুযায়ী প্রত্যেকটি বিষয়ে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমন একটা রুটিন তৈরি করতে হবে যেটা আপনার পক্ষে মেনে চলা সহজ হয়।

ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করা 

আপনি সব বিষয়ে যে পারদর্শী হবেন এমনটা নয়। যে বিষয়গুলোতে আপনার দুর্বলতা আছে সেগুলোতে সময় বেশি দিন। ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন কিভাবে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবেন। জানা বিষয়গুলোতে সময় দেওয়ার পাশাপাশি অজানা বিষয়গুলোতে একটু বেশি সময় দিতে হবে। 

ধৈর্যশক্তি বাড়াতে হবে

বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কার্যকারী গাইডলাইন এর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যেটা দরকার সেটা হল ধৈর্য। আপনার বিসিএস প্রিলিতে উত্তীর্ণ হতে না পারার পেছনে  প্রধান কারন হয়ে দাড়ায় ধৈর্য। ধৈর্যশক্তি বাড়াতে বেশ কিছু কাজ আপনি করতে পারেন যেমন, 
  • যদি আপনি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করবেন।
  • দৈনিক এক ঘণ্টা ব্যায়াম করবেন।
  • বেশি বেশি বই পড়বেন।
  • বিসিএস পড়াশোনা করতে করতে বিরক্ত হয়ে গেলে একটু বিরতি নিয়ে অন্য কোন গল্পের বই পরেন।
বিসিএস প্রিলির ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকেই ২-৩ বার পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারেনা। এক্ষেত্রে তখন হতাশা কাজ করে অনেক। হতাশ না হয়ে বরং আপনি ধৈর্যের সাথে পরীক্ষা দিয়ে যান যতবার আপনার পরীক্ষা দেওয়ার বয়স থাকবে। 

পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করা

বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির কার্যকারী গাইডলাইন এর ক্ষেত্রে একটা বিষয় খুব ভালভাবে খেয়াল রাখতে হবে যে বিষয়ে পড়াশোনা করবেন সেটা পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন। বিসিএস সিলেবাস অনেক বড় তাই পড়তে হবে পড়ার মত। দীর্ঘক্ষণ পড়াশোনার চেয়ে দরকার সঠিক ও পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা।

অতিরিক্ত প্রত্যাশা না করা

প্রত্যাশা থাকা ভাল কিন্তু অতিরিক্ত প্রত্যাশা করা যাবেনা। প্রত্যাশা পরীক্ষার্থীর স্নায়ুচাপ সৃষ্টি করে। এত স্নায়ুচাপ নিয়ে পরীক্ষায় কখনও ভাল করা যাবেনা। তাই অতিরিক্ত প্রত্যাশা বাদ দিয়ে নিয়ম মাফিক পড়াশোনা করে যেতে হবে আর আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। 

নেগেটিভ মার্কিং সম্পর্কে সচেতন

বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য যেমন পূর্ণ ১ নম্বর পাওয়া যায় তেমনি ভুল নম্বরের জন্য .৫ নম্বর কাটা হয়। তাই একদম কনফার্ম না হয়ে কোন উত্তর দেওয়া যাবে না। 

একটি বা দুটি প্রশ্নের ভুল উত্তরে নেগেটিভ মার্কিংয়ের কারনে মেধা তালিকায় হাজার হাজার পরীক্ষার্থীদের পিছিয়ে পড়ে যেতে হয়। তাই নেগেটিভ মার্কিং থেকে বাঁচতে কনফিউজিং প্রশ্নের উত্তর করার সময় বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।

প্রতিদিন ইন্টারনেট থেকে পড়াশোনা করার চেষ্টা

পড়াশোনার একটি ভাল মাধ্যম হচ্ছে ইন্টারনেট। এখানে আপনার পছন্দের সবকিছু খুঁজে পাবেন। সব সময় বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আপনি আপডেট থাকবেন। ইংরেজিতে ভাল করতে ইন্টারনেট থেকে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত পত্রিকাসমূহ পড়বেন। এতে আপনার ইংরেজি দক্ষতা বাড়ার সাথে সাথে সাধারণ জ্ঞানও বৃদ্ধি পাবে। 

স্টাডি গ্রুপ তৈরি করা

একা একা আপনি কখনও দুনিয়া জয় করতে পারবেন না। সবাইকে সাথে নিয়ে চলতে হয়। একা একা পড়াশোনা করে যতটুকু জানবেন কয়েকজনকে সাথে নিয়ে গ্রুপ স্টাডি করলে অনেক বেশি জানবেন।  বিভিন্ন মাথা থেকে বিভিন্ন জ্ঞান পাওয়া যায়। আবার একেকজনের চিন্তাধারা একেরকম হয়। 

একটি সমস্যার সমাধান আপনি একা না করতে পারলেও কয়েকজন সাথে গ্রুপ স্টাডি করলে সমস্যার সমাধান অতিদ্রুত হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করবেন সপ্তাহে একবার হলেও মেধাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের সাথে গ্রুপ স্টাডি করা।     

অভিজ্ঞদের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা নেওয়া

বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এলোপাতারিভাবে বিসিএস প্রস্তুতি না নিয়ে উচিত হবে একজন অভিজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যার বিসিএস প্রস্তুতির অভিজ্ঞতা আছে। তারাই আপনাকে সঠিক গাইডলাইন দিতে পারবে। তারা কি কি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল আর কি কি উপায়ে ভাল করেছে এগুলো আপনার কাছে শেয়ার করলে আপনার কাজটা সহজ হয়ে যাবে। 

বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা

বিসিএস পড়াশোনায় এমন অনেক তথ্য থাকে যেগুলো নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয় যেমন তারিখ, স্থান, সংখ্যা প্রভৃতি। এসব তথ্য নিয়ে যেন কোন বিভ্রাতি তৈরি না হয় সেজন্য আলাদাভাবে নোট করে পড়ার টেবিল এর সামনে দেয়ালে আটকিয়ে রাখতে হবে এবং মাথার মধ্যে ভালভাবে গেঁথে নিতে হবে।

বিসিএস এর পূর্বের প্রশ্নসমূহ এনালাইসিস করে দেখা 

বিসিএস এ প্রশ্ন কেমন আসে এটা বুঝতে গেলে যেটা দরকার বিসিএস এর পূর্বের প্রশ্নপত্র এনালাইসিস করা। এতে আপনি বুঝতে পারবেন আপনাকে প্রস্তুতি কিভাবে নিতে হবে। প্রত্যেকটি বিষয়ের কোন চ্যাপ্টারগুলো বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। 

মডেল টেস্টসমূহ অংশগ্রহন করা

বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার আগে বেশি বেশি মডেল টেস্ট দিন। এতে আপনার মুল পরীক্ষায় যাওয়ার আগে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। নিজেকে অনেক সংশোধন করার সুযোগ পাবেন। মুল পরীক্ষায় যাদের সাথে অংশগ্রহণ করবেন তাদের সাথে মডেল টেস্ট দিতে পারলে আপনার প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারবেন। 

প্রস্তুতির পাশাপাশি নিয়মিত অনুশীলন করা 

যেহেতু বিসিএস একটি বড় সিলেবাস তাই ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত সেগুলো চর্চা করতে হবে। যত চর্চা করবেন তত বিষয়গুলো আত্মস্থ হবে। এক্ষেত্রে আপনি আরেকটি কাজ করতে পারেন সেটা হল ইন্টারনেট এর সাহায্য নিয়ে মোবাইলে চর্চা করতে পারেন। 

এজন্য গুগল প্লে-স্টোর থেকে Hello BCS app নামিয়ে ফেলুন। এখানে আপনি টাকা ছাড়ায় প্রতিটি বিষয়ে এক্সাম দিতে পারবেন।   

ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে বিশেষভাবে নজর দেওয়া

আমরা বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কার্যকারী গাইডলাইন এবং ধারণার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো জানলাম তার মধ্যে আরেকটি ব্যাপার বলতে হয় তা হল আমরা অন্যান্য বিষয়ে একটু পরিশ্রম করে ভাল করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আটকিয়ে যায় ইংরেজি এবং গনিতে। 

আমাদের দেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে তারা ইংরেজিতে এবং গনিতে দুর্বল। তাই তারা বেশি খারাপ এই দুটোতেই করে। এইজন্য এই দুটো বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

চাকরির পাশাপাশি বিসিএসের প্রস্তুতি

চাকরির পাশাপাশি বিসিএস প্রস্তুতি কঠিন কাজগুলোর মধ্যে একটি। কয়েক বছর লেগে যায় একটি বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে। এই সময় একজন শিক্ষার্থীদের বসে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে কারন তাদের সংসার টানতে হয়। তাই তারা বিসিএস প্রস্তুতির পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত থাকে। 

অনেকের ধারণা বিসিএস এ টিকতে গেলে সব কিছু বাদ দিয়ে শুধু পড়াশোনা করতে হবে এ ধারণা ভুল। যদি কেও বিসিএস প্রস্তুতির পাশাপাশি কোনও সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে তাহলে তার অভিজ্ঞতা বাড়বে যা তাকে বিসিএস পরীক্ষায় সাহায্য করবে। দেখা গেছে প্রশাসন, পুলিশ, পররাষ্ট্রসহ আকর্ষণীয় ক্যাডারগুলোতে চাকরিজীবীদের প্রাধান্য বেশি দেওয়া হয়ে থাকে। 

বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা

আপনাকে জেনারেল ক্যাডারে আবেদনের যোগ্যতা অর্জন করতে কমপক্ষে চার বছরের অনার্স পাস করা লাগবে অথবা আপনি যদি তিন বছরের কোন কোর্স এ পাস করে থাকেন তাহলে আপনাকে এক বছর মাস্টার্স করা লাগবে। 

এছাড়াও আপনার যদি অনার্স এবং মাস্টার্স দুটোই শেষ হয়ে থাকে তাহলে অ্যাপিয়ার্ড সার্টিফিকেট দিয়েও বিসিএস বিসিএস প্রিলিমিনারির জন্য আবেদন করতে পারবেন। টেকনিক্যাল ক্যাডারে আবেদন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট বিষয়ে যোগ্যতা থাকতে হবে। আবার ডাক্তার হিসেবে সরকারী চাকরি করতে হলে অবশ্যই আপনাকে আগে এমবিবিএস ডিগ্রি থাকা লাগবে। 

বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি

তিনটি ধাপে বিসিএস পরীক্ষা নেওয়া হয়। ধাপগুলো নিচে তুলে ধরা হল,

প্রিলিমিনারি পরীক্ষা

প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হল বিসিএস পরীক্ষার প্রথম ধাপ। এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০০ নম্বরের মধ্যে। এর মধ্যে মোট ১০টি বিষয় থেকে নৈর্বক্তিক (MCQ) আকারে প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যায়। সময় থাকে ২ ঘণ্টা। ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ কাটা হয়। 

মনে রাখতে হবে যে এই প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় শীর্ষে থাকা পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে মাত্র ৫% থেকে ১০% পরীক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ করা হয়ে থাকে।

লিখিত পরীক্ষা

এই ধাপে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। এই পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয় ৯০০ নম্বরের মধ্যে। এই পরীক্ষার পাস করতে আপনাকে পেতে হবে ৫০% নম্বর। এই পরীক্ষার নম্বর মৌখিক পরীক্ষার নম্বরের সাথে যুক্ত হবে। এই ধাপে উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষাতে (Interview) ডাকা হয়। 

ভাইভা/মৌখিক পরীক্ষা

এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভাইভা/মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার মোট নম্বর ২০০ এবং পাসের হার ৫০%। একজন  চেয়ারম্যান এবং একজন বোর্ড সদস্য দ্বারা এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে প্রশ্ন কোন সিলেবাস অনুযায়ী করা হয়না। 

সাধারণত একাডমিক পড়াশুনা, দেশ, সমাজ, রাজনীতি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী এবং প্রার্থীর ক্যাডার চয়েস লিস্ট এসবের উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন করা হয়। লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার মিলিয়ে মোট ১১০০ নম্বরের মধ্যে মেধা তালিকা তৈরি করে বিপিএসসি বিসিএস ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। 

এক বছরে বিসিএস শেষ করার উদ্যোগ

পিএসসির সূত্র থেকে জানা গেসে  বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া এবং ফল প্রকাশের কার্যক্রম ৯৫ দিনে তারা শেষ করবে। তারমধ্যে ৩০দিন চলবে অনলাইনে নিবন্ধন (আবেদন) কার্যক্রম। 

আর লিখিত পরীক্ষার (আবশ্যিক) প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মডারেশন করার কাজটিও চলবে এই প্রিলিমিনারি পরীক্ষার কার্যক্রম চলার সময়েই। এরপর লিখিত পরীক্ষার পুরো কার্যক্রম শেষ করা হবে ১২৭ দিনে।এর মধ্যে আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা থাকবে সাত দিনে এবং পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা ১২দিনে নেওয়া হবে। 

মোট ৭৫ দিনে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে।  লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশসহ অন্য কাজগুলো করা হবে বাকি দিনগুলিতে।  মৌখিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে এর পুরো কার্যক্রম এর জন্য ধরা হয়েছে ১১০দিন তারমধ্যে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে ১০০ দিনে। বাকি দিনগুলোতে আনুষঙ্গিক  অন্যান্য  কাজগুলো করে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে।

লেখকের মন্তব্য

সবশেষে বলতে পারি, জীবনে ভাল কিছু অর্জন করতে পরিশ্রম একমাত্র উপায়। একটি বছর পরিশ্রম করুন আর আল্লাহর উপর ভরসা করুন দেখুন আপনি ভাল জায়গায় যাবেন। এতক্ষণ আপনি বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কার্যকারী গাইডলাইন এবং ধারণা সম্পর্কে জানলেন। 

এখন এই গাইডলাইন ফলো করে আপনি যদি প্রস্তুতি নেন আশা করছি আপনি ভাল করতে পারবেন। আজকের পোস্টটি যদি আপনার উপকারে আসে তাহলে আপনার পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করুন এবং আরও কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url