বিপরীত লিঙ্গের কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার বৈজ্ঞানিক উপায়সমূহ

আপনি যদি বিপরীত লিঙ্গের কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তলার বৈজ্ঞানিক উপায়সমূহ সম্পর্কে জানার অধিক আগ্রহ হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণরূপে আপনার জন্য। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বিপরীত লিঙ্গের কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তলার বৈজ্ঞানিক উপায়সমূহ
পৃথিবীর প্রায় অধিকাংশ মানুষই বিপরীত লিঙ্গের কাছে আকর্ষণীয় হওয়ার প্রবণতা রাখে। এর বৈজ্ঞানিক উপায়সমূহ সম্পর্কে জানতে চলুন মূল আলোচনায় চলে যাওয়া যাক।

ভূমিকা

বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণীয় হওয়া মানুষের একটা সহজাত প্রবৃত্তি। মানুষ কখনও একা থাকতে চায় না। সে সবসময় চায় কেও একজন তার পাশে থাকুক। সে ক্ষেত্রে বিপরীত লিঙ্গের কাউকে প্রাধান্যটাই বেশি দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিপরীত লিঙ্গের দুইজন একসাথে থাকার প্রবণতা তৈরি হয় কেবল একে অপরের প্রতি আকর্ষিত হলেই। 

এ আকর্ষণীয় হওয়াটা নির্ভর করে অনেক কিছুর উপর। আজকে এই বিষয়ে অর্থাৎ বিপরীত লিঙ্গের কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তলার বৈজ্ঞানিক উপায়সমূহ নিয়ে আলোচনা করব।

 হাসি মুখে কথা বলা

চেহারার অলংকার হল হাসি। একটা মানুষকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় লাগে যখন সে হাসি মুখে কথা বলে। এটি একটি মানুষের ব্যক্তিত্ব বাড়ায়। বিপরীত লিঙ্গের কাউকে আকর্ষিত করতে চাইলে হাসি উপহার দিন। এইটাই হবে আপনার প্রথম ধাপ।

আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলুন

বিপরীত লিঙ্গের কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তলার বৈজ্ঞানিক উপায়সমূহের মধ্যে অন্যতম উপায় হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলা। এর একটা আলাদা শক্তি আছে। নিজেকে কখনই অসহায় বা ছোট করে দেখবেন না। আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজেকে অন্যের কাছে তুলে ধরুন দেখবেন অনেকেই আপনার প্রতি আকর্ষিত হবে। নিজেকে সম্মান করতে হবে। ভুল কে ভুল আর সঠিককে সঠিক বলা শিখতে হবে।নিজের বিকাশের জন্য আত্মবিশ্বাসী হওয়াটা খুবই জরুরী।  

সঠিকভাবে সাজসজ্জা করা

বিপরীত লিঙ্গের প্রতি নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সঠিকভাবে সাজসজ্জা করাটা খুবই জরুরী। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই ভাল পোশাক পরিধান, সুগন্ধি মাখা, দাঁত ব্রাশ করা, পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে সঠিক রঙ বাছাই করা ইত্যাদি খেয়াল রাখতে হবে। নিজের বাচনভঙ্গির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

অনেকের ধারণা এই  কর্মব্যস্ত জীবনে নিজের সাজসজ্জার প্রতি কিভাবে খেয়াল রাখব কিন্তু এটা একটা ভুল ধারণা। ব্যস্ততার মাঝেও নিজের সাজসজ্জার প্রতি খেয়াল রাখা যায়। 

চ্যালেঞ্জ নেওয়া শিখতে হবে

নারী ও পুরুষ দুইজনের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য হবে চ্যালেঞ্জ নেওয়া শিখতে হবে। যে যত বেশি আত্মবিশ্বাসী সে তত চ্যালেঞ্জ নিতে পারে। নিজেকে গুটিয়ে না রেখে ভালভাবে মেলে ধরুন। এর মানে এই নয় যে তা হারাম উপায়ে। নিজের প্রতিভাকে মেলে ধরুন। যে কোন ভাল কাজের প্রতিযোগিতায় নিজেকে সম্পৃক্ত করুন। 

হার বা জিত এগুলো জীবনের একটা অংশ। হেরে গেলেও থেমে যাবেন না। যে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন তা আপনাকে জীবনে অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যাবে। এছাড়াও উন্নতি বিপরীত লিঙ্গের জন্য আকর্ষণীয় বিষয়।

নিজের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া

সুস্থ দেহ সুস্থ মন চিন্তামুক্ত সারাক্ষণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেদযুক্ত দেহ নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই পছন্দের বিষয়ের মধ্যে পড়ে না। প্রথমেই স্বাস্থ্যের কথা আসলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ ভুরি কমাতে হবে। এইজন্য খাবারের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। নিজেকে সুস্থ রাখতে কি করনীয় তা বিস্তারিত জানতে,

আরও পড়ুনঃ নিজেকে সুস্থ রাখার ১৬টি সহজ উপায়

এছাড়াও সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি রোগব্যাধিমুক্ত থাকাটাও জরুরী। এর জন্য শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এই ব্যাপারে,

বিস্তারিত জানুনঃ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ

নিজেকে রহস্যময় করে রাখার চেষ্টা করুন

চেষ্টা করবেন বিপরীত লিঙ্গের কাছে নিজেকে সব সময় রহস্যময় করে রাখতে। নিজের কিছু রহস্য পর্দার আড়ালেই রেখে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এই ব্যাপারটা একজন বিপরীত লিঙ্গের কাছে আপনাকে আকর্ষণীয় করে তুলবে। আপনার সব কিছু যদি জানিয়ে দেন তাহলে আপনার প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলবে।  

মেরুদণ্ড সোজা রেখে চলুন

নিজেকে আকর্ষণীয় দেখানোর আরেকটি মাধ্যম হল চলার সময় মেরুদণ্ড সোজা রেখে চলুন। বসা এবং হাঁটা উভয় ক্ষেত্রেই মেরুদণ্ড সোজা করে রাখুন। এভাবে আপনাকে স্মার্ট দেখাবে।

কর্মক্ষেত্রে নিজেকে সক্রিয় রাখুন

আকর্ষণীয় হওয়া যে শুধু কম বয়সী নারী ও পুরুষের মধ্যে থাকবে এমনটা নয় স্বামী স্ত্রীর মধ্যেও আকর্ষণ অনুভব হওয়াটা জরুরী। এর জন্য উভয় ক্ষেত্রেই কর্মক্ষেত্রে নিজেদের সক্রিয় রাখাটা খুবই জরুরী। বলা হয়ে থাকে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের আখড়া। যত অলস বসে থাকবেন তত মাথায় কুবুদ্ধি জন্মাবে এবং আপনার মধ্যে যে আকর্ষণীয় ব্যাপার আছে সেটা লোপ পাবে। 

সচরাচর পুরুষেরা কর্মক্ষেত্র সামলায় কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ভিন্ন থাকে। নারীরা ঘর সংসার সামলাতে সামলাতে জীবন পার করে দেয়। তাই আধুনিক নারীদের ঘর সংসার সামলানোর পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে নিজেদের ব্যস্ত রাখা উচিত। আর পুরুষদের কর্মক্ষেত্রের পাশাপাশি ঘর সংসারেও নিজেদের সক্রিয়তা রাখা উচিত। এতে করে একে অপরকে তারা ভাল বুঝতে পারবে। একে অপরের প্রতি ভালবাসা বাড়বে।

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক সুন্দর করা

আমরা আলোচনা করছি বিপরীত লিঙ্গের কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তলার বৈজ্ঞানিক উপায়সমূহ। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিত স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আকর্ষণীয় করে তলার বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দেওয়া কারন স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক দীর্ঘায়ত করতে একে অপরের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করাটা খুবই জরুরী। এর জন্য নিম্নলিখিত আচরণবিধি মেনে চলা উচিত,

  • অপ্রয়োজনীয় কথা না বলা।
  • ভেবে চিনতে কাজ করা।
  • যে কোন পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা করে চলা।
  • স্পষ্ট ভাষায় কথা বলা।
  • স্ত্রীকে তার বাসার কাজে সাহায্য করা।
  • দুইজনকেই দুইজনের বংশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
  • তর্কে বিতর্কে না জড়ানো।
  • সব সময় ইসলাম শিক্ষা নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা।
  • এক সাথে নামায আদায়ে শামিল হওয়া।
  • একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করা।

আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তলা

বিপরীত লিঙ্গের কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তলার বৈজ্ঞানিক উপায়সমূহের আরেকটি দিক হল আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা। আদর্শ মানুষ হতে হলে আপনাকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপসমূহ মেনে চলতে হবে,

  • প্রথমত আপনাকে কোমল হৃদয়ের অধিকারী হতে হবে। অন্যের দুঃখ কষ্টে আপনাকে পাশে থাকতে হবে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
  • মানুষের প্রতি সদাচারন করতে হবে। রূঢ় ও কঠোর হওয়া যাবেনা।
  • ক্ষমাশীল হতে হবে। মানুষকে ক্ষমা করতে জানতে হবে। মানুষের সাথে চলতে ফিরতে অনেক ভুল ভ্রান্তি হতে পারে ক্ষমা করে দিতে হবে।
  • একজন আদর্শ মানুষের আরেকটি মহৎ গুন হল অন্যের পরামর্শ গ্রহন করা। বাক্তিগত, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করার মন মানুসিকতা থাকতে হবে।
  • নিজের মধ্যে অস্থিরতা পরিহার করতে হবে। ধৈর্যশীল হতে হবে।
  • সব সময় সত্যের উপর থাকতে হবে। সত্যবাদিতা একজন মানুষের মহৎ গুন। মিথ্যা একটা মানুষকে ধ্বংস করে।
  • একজন আদর্শ মানুষকে অবশ্যই একজন ন্যায় বিচারক হতে হবে। আল্লাহতায়ালা ন্যায় বিচার করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
  • ইসলাম নিয়মনীতি অনুযায়ী চলতে হবে। ইসলামি জীবনাচরণ ও শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে।

রোমান্টিক হওয়ার চেষ্টা করুন

বিপরীত লিঙ্গের কাওকে আকর্ষিত করতে চাইলে আপনাকে একটু রোমান্টিক হতে হবে। জীবনে যদি সুখী হতে চান তাহলে রোমান্সের বিকল্প নাই। মেয়েদের পুরুষদের মধ্যে রোমান্টিক আচরণ বেশ পছন্দের হয়ে থাকে। 

লেখকের মন্তব্য

একা একা কখনও বেঁচে থাকা যায়না। এর জন্য দরকার একজন ভাল মানের জীবনসঙ্গী। একজন ভাল জীবনসঙ্গী কিভাবে চিনব আবার নিজেকে বিপরীত লিঙ্গের কাছে কিভাবে বৈজ্ঞানিক উপায়ে আকর্ষণীয় করে তুলব তার জন্য উপরের আলোচনায় যথেষ্ট। আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। 

ভাল লেগে থাকলে পোস্টটি পরিচিতিজনদের সাথে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করে পাশে থাকুন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url