মুসলিমদের উৎসব আশুরার তাৎপর্য এবং কারবালার শিক্ষা


একজন মুসলমানকে দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি মুসলিমদের উৎসব আশুরার তাৎপর্য এবং কারবালার শিক্ষা সম্পর্কে জানা অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে আজকের আলোচ্য পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

মুসলিমদের উৎসব আশুরার তাৎপর্য এবং কারবালার শিক্ষা

আসন্ন মুসলিমদের উৎসব আশুরার তাৎপর্য এবং কারবালার শিক্ষা  আমদের মুসলিম সমাজে অনেক তাৎপর্য বহন করে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চলুন দেরি না করে মূল আলোচনায় চলে যাওয়া যাক।

ভূমিকা

মহান আল্লাহতাআলা জ্বিলকদ, জ্বিলহজ্জ্ব, মুর্হরম ও সফর এ চারটি মাসকে অনেক সম্মানিত করেছেন। এ চারটি মাসের মধ্যে মুর্হরম অত্যন্ত ফযিলতপূর্ণ ও বরকতময় আমাদের মুসলমানদের জন্য। বলা বাহুল্য আইয়্যামে জাহিলিয়াতের যুগের আরব্য বেদুঈনরাও এ মাসকে সম্মান করত এবং বিশেষ মর্যাদার চোখে দেখত। 

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, রমজানের পর সর্বোত্তম রোযা হচ্ছে আল্লাহর মাস মুর্হরমের রোযা আর ফরয নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো রাতের নামাজ (তাহাজ্জুদের নামাজ) (সহিহ্ মুসলিম: ২৬৪৫)। এ মাসকে ঘিরে  ইসলামের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু সৃষ্টিকারী এডিস মশার হাত থেকে বাঁচতে ১০টি কার্যকরী উপায়সমূহ

উম্মতে মুহম্মদীই ছাড়াও পূর্ববর্তী অনেক উম্মত ও নবীদের অবিস্মরণীয় ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল এ মাসকে ঘিরেই। আজকের আলোচনায় আশুরা কি এবং এর ইতিহাস, আশুরার আমলসমূহ, আশুরার তাৎপর্য এবং কারবালার ইতিহাস ও শিক্ষা নিয়ে একটা সম্যক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

আশুরা কি এবং এর ইতিহাস

ইসলামি পরিভাষায় আশুরা মহররম মাসের ১০ তারিখকে বলা হয়। আশুরা বা ‘ইয়াওমে আশুরা’ মুর্হরম মাসের সবচেয়ে মহিমান্বিত দিন অর্থাৎ মুর্হরমের দশ তারিখ। হাদিস শরিফে এ মাসকে আখ্যা দেওয়া হয়েছে ‘শাহরুল্লাহ’ বা ‘আল্লাহর মাস’ বলে। এদিন রোজা রাখা মুস্তাহাব। 

অনেক আগে এদিন রোজা রাখা ফরজ ছিল যখন রমজানে রোজা রাখা ফরয বিধান হয়নি। নবী (সা.) বলেছেন: রমজানের পর শ্রেষ্ঠ মাস হচ্ছে আল্লাহর মাস, যাকে তোমরা মুর্হরম বলে থাক। (সুনানে নাসায়ী: ৪২১৬)। কোরআন বর্ণিত আছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর কাছে ১২মাসের এর মধ্যে ৪টি মাস সম্মানিত।’ (সুরা-৯ তওবা, আয়াত: ৩৬)। 

আরও পড়ুনঃ তীব্র তাপদাহে অসহ্য গরমে নিজের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয়সমূহ

হজরত আয়েশার (রা.) একটি হাদিসে এদিন রোজা পালন যে মুস্তাহা তার পক্ষে বর্ণনা এসেছে। ৬৮০ খ্রি. মোতাবেক ৬১ হিজরির এই দিনে শ্রেষ্ঠনবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) অন্যায় ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে  চক্রান্তকারী ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে মর্মান্তিকভাবে শাহাদত বরণ করেন। ইসলামের ইতিহাসে হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এর আত্মত্যাগের এই শোকাবহ ঘটনা সমুজ্জ্বল হয়ে আছে।    

আশুরার তাৎপর্য

আশুরায় রোজা রাখলে গোনাহ মাফের ওয়াদা করা হয়েছে। রাসুল (সা.) আশুরা উপলক্ষে দু’টি রোজার কথা বলেছেন তিনি ১০ মহররমের সঙ্গে ৯ অথবা ১১ মহররম মিলিয়ে দুটি রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তবে ৯ তারিখে রাখা উত্তম। কারণ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, ‘তোমরা ৯ এবং ১০ তারিখ রোজা রাখো’ (তিরমিজি শরিফ, হাদিস : ৭৫৫)। অনেকগুলো কারনে মুসলিমদের উৎসব আশুরার তাৎপর্য আমাদের জীবনে অনেক। নিম্নে তা তুলে ধরা হল,

  • এইদিনে আল্লাহতায়ালা আকাশ-জমিন, পাহাড়-পর্বতসহ সমস্ত পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং এইদিন সর্বপ্রথম বৃষ্টি ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়েছিল।
  • এইদিন আল্লাহ কলম এবং হজরত আদম (আ.) কে সৃষ্টি করেছিলেন।
  • এইদিন হজরত আদম (আ.) এর তওবা কবুল হয়েছিল, পৃথিবীতে পদার্পণ করেছিলেন এবং স্ত্রী হাওয়া (আ.)-এর সাথে আরাফার ময়দানে সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন।
  • হজরত ইদরিস (আ.) কে আশুরার দিনই আসমানে উঠিয়ে নেওয়া হয়। 
  • আল্লাহর রহমতে এইদিন হযরত ইউনুস (আ.) ৪০ দিন পর মাছের পেট থেকে মুক্তি লাভ করেন।
  • হজরত নুহ (আ.) এর কিশতিকে আল্লাহতায়ালা ভয়ঙ্কর বন্যা থেকে রক্ষা করেছিলেন এইদিন এবং নুহ (আ.) মহাপ্লাবন থেকে রক্ষা পেয়ে তুরস্কের জুদি নামক পর্বতে নোঙ্গর করেছিলেন।
  • নমরুদের প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হওয়ার ৪০ দিন পর হযরত ইব্রাহিম (আ.) ১০ মুর্হরম মুক্তি লাভ করেন।
  • এইদিন হজরত ইবরাহিম (আ.) ‘খলিলুল্লাহ’ উপাধি পেয়েছিলেন।
  • হযরত আইয়ুব (আ.) দীর্ঘ ১৮ বছর কঠিন রোগে ভোগার পর এইদিন দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভ করেছিলেন। 
  • হজরত ইসমাইল (আ.) জন্মগ্রহণ করেছিলেন এইদিনে।
  • হযরত ইয়াকুব (আ.)-এর পুত্র হযরত ইউসুফ (আ.) তার ১১ ভাইয়ের ষড়যন্ত্রে কূপে পতিত হওয়ার ঘটনা আমরা অনেকেই জানি। কুপে পতিত হওয়ার সেখান থেকে ৪০ দিন পর  ১০ মুর্হরম মুক্তি লাভ করেন।
  • হজরত ইউসুফ (আ.) কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেছিলেন এবং মিসরের শাসক নিযুক্ত হয়েছিলেন এইদিনে।
  • এইদিনে হযরত ইদ্রিস (আ.) সশরীরে জান্নাতে প্রবেশ করেছিলেন।
  • এইদিনে বনী ইসরাইল হজরত মুসা (আ.) এর নেতৃত্বে ফিরআউনের জুলুম থেকে মুক্তি লাভ করেছিল। ফিরাউনকে লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মারা হয়েছিল। 
  • এইদিনেই আল্লাহ  হযরত দাউদ (আ.) কে ক্ষমা করে দেন এবং বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেন। 
  • হজরত মুসার (আ.) ওপর পবিত্র তাওরাত নাজিল হয়েছিল এইদিনেই।
  • এইদিনে হারানো রাজত্ব পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছিল হযরত সুলায়মান (আ.) অর্থাৎ তার বাদশাহি ফিরে পেয়েছিলেন।
  • হজরত ইউনুসের (আ.) উম্মতের তওবা কবুল করা হয়েছিল এইদিনে।
  • শিশু মুসা (আ.) কে ফিরাউনের স্ত্রী বিবি আসিয়া গ্রহণ করেছিলেন পবিত্র আশুরার দিনে।
  • এদিনই হজরত ঈসা (আ.) জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং আল্লাহ তাকে আসমানে উঠিয়ে ইহুদিদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেছিলেন।
  • কারবালার প্রান্তরে এইদিনে হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এবং পরিবার-পরিজন সবাই শাহাদত বরণ করেছিলেন। 
  • পবিত্র কাবাঘরে মক্কার কোরাইশরা এইদিনেই নতুন গিলাফ জড়ায়।
  • মহানবীর (সা.) সঙ্গে হজরত খাদিজার (রা.) বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল পবিত্র আশুরার দিনেই।
  • রাসুলের (সা.) দৌহিত্র হজরত হুসাইন (রা.) এই দিনেই কুফায় শাহাদাৎ বরণ করেছিলেন।
  • হাদিসে আসছে  আশুরার দিনেই অর্থাৎ মুর্হরম মাসের ১০ তারিখে কিয়ামত সংঘটিত হবে।

আশুরার আমল কি রকম 

মুসলিমদের উৎসব আশুরার তাৎপর্য এবং কারবালার শিক্ষা জানার পাশাপাশি এর আমল সম্পর্কে জানা আমাদের জরুরী। আশুরার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে রোজা রাখা। সব নবী রাসুলের আমলেই এই রোজা রাখার প্রচলন ছিল। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) আশুরার রোজা পালন করতেন মক্কা মুকাররমায় থাকা অবস্থায়।প্রিয় নবী (সা.) হিজরতের পর মদিনায় এসে ইহুদিদেরও এই দিনে রোজা পালন করতে দেখেছেন।

এদিনে মুসা (আ.) এর  সিনাই পর্বতে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাওরাত লাভের ঘটনা রাসুলুল্লাহ (সা.) জানতে পেরেছিলেন। যেহেতু এইদিনেই ফেরাউনের কয়েদখানা থেকে বনি ইসরায়েলকে মুসা (আ.) রক্ষা করেছিলেন তাই ইহুদিরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য এই দিনে রোজা রাখে। 

মহানবী (সা.) ইহুদিদের    সঙ্গে যাতে সাদৃশ্য না হয় এইজন্য মহররমের ৯, ১০ অথবা ১০, ১১ মিলিয়ে দুটি রোজা রাখতে বলেছেন কারন তিনি বলেছেন ‘মুসা (আ.) এর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক তাদের চেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ'। 

রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘রমজানের রোজার পর মহররমের রোজা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ যেমন ফরজ নামাজের পরে শেষ রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ সবচেয়ে বেশি মর্যাদাসম্পন্ন (তিরমিজি ও মুসনাদে আহমাদ)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, চ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আশুরার দিনে পরিবারের ব্যয়বৃদ্ধি করবে, ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করবে, আল্লাহতাআলা সারা বছরের জন্য তার প্রাচুর্য বাড়িয়ে দেবেন।’   

কারবালার ইতিহাস ও শিক্ষা

 হজরত হোসাইন (রা.) যিনি ছিলেন প্রিয় নবী হজরত হোসাইন (রা.) এর দৌহিত্র হজরত আলী (রা.)–এর আদরের দুলাল, আহলে বাইতের অন্যতম সদস্য, হজরত ফাতিমার নন্দন, জান্নাতি যুবকদের সরদার এবং বিশ্ব মুসলিমের নয়নমণি। তিনি ইয়াজিদি বাহিনীর হাতে ফোরাত নদীর তীরে বাষট্টি হিজরি সনের মহরম মাসের ১০ তারিখ শুক্রবারে অত্যন্ত করুণভাবে শাহাদাতবরণ করেছিলেন। 

কারবালা শব্দটি আসছে আরবি ‘কারব’ ও ‘বালা’ থেকে যার মানে যথাক্রমে সংকট এবং মুসিবত। এইজন্য কারবালাকে সংকট ও মুসিবতের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কারবালার এই ঐতিহাসিক ঘটনাটা মহিমাময় মহরম মাসে সংঘটিত হওয়ায় ইতিহাসে এটি আশুরা গুরুত্ব ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। 

বলা যেতে পারে আশুরা এবং কারবালা একে অপরের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে।  কারবালার প্রান্তর ফোরাত নদীর কূলে অবস্থিত এবং এটি কুফার একটি সুপ্রাচীন নদী। কারবালায় অবস্থানকালে হোসাইনি কাফেলার একমাত্র পানির উৎস ছিল এই ফোরাত নদী। এই ফোরাত নদী উবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদের বাহিনী ঘিরে রেখে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল  নিরস্ত্র অসহায় আহলে বাইতকে। 

এ নদী ঘিরে আরেকটি ঘটনা আছে তা হল এ নদী থেকে পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে এক ফোঁটা পানির জন্য নিষ্পাপ দুগ্ধপোষ্য শিশু আলী আসগর সীমানায় অবস্থিত বাহিনীর তিরের আঘাতে শহীদ হয়। ইরাকের একটি বিখ্যাত শহর হচ্ছে ‘কুফা’ যেখানে পরবর্তীকালে খেলাফতের রাজধানী হয়েছিল হজরত আলী (রা.)-এর শাসনামলে।

মদিনা মুনাওয়ারা ছিল আমাদের প্রিয় নবী(সা.) এর এর সময় মুসলিম শাসনের প্রাণকেন্দ্র। এরপর খেলাফত পরিচালনা করার দায়িত্ব পড়ে প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) উপর। উনি প্রায় আড়াই বছর খেলাফত পরিচালনা করে ইন্তেকাল করেন। এরপর ১০ বছর খেলাফতের দায়িত্ব পালন করে শহীদ হন মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর ফারুক (রা.)। 

তারপর তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান গনি (রা.) ১২ বছর, চতুর্থ খলিফা হজরত আলী (রা.) দুই বছর  খেলাফত পরিচালনা করেন। এরপর বিভিন্ন জটিলতার কারনে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য ইরাকের কুফায় খেলাফতের রাজধানী স্থানান্তর করেন। উবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদ ছিলেন ওই সময়কার গভর্নর এবং তারই নেতৃত্বে কারবালায় ঘটে যাওয়া নির্মম ঘটনাটি সংঘটিত হয়। 

ইয়াজিদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য এবং কুফাবাসির পক্ষ হয়ে দাঁড়ানোর জন্য শত শত পত্রের মাধ্যমে হজরত হোসাইন (রা.) কে আমন্ত্রণ জানানো হয়। হজরত আলী (রা.) এর শাহাদাতের পর তার স্থলে দায়িত্ব নেয় হজরত হাসান (রা.)। পরবর্তী সময়ে তুরস্ক ও মিসরে  ইসলামি খেলাফতের রাজধানী স্থানান্তরিত হয়। ১৯২৪ সালে  মিসর থেকেই ইসলামি খেলাফতের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘটে। কারবালা থেকে আমরা যে শিক্ষা পাই,

  • নির্মম নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হোসাইনি কাফেলা চিরস্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবে সত্য ও ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার কারনে।
  • আশুরা এবং মহররম আমাদের সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকার শিক্ষা দেয়।
  • পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সহজ পথ ও সুন্দর সমাজ নির্মাণের লক্ষে জীবনের ব্রত, ত্যাগের শিক্ষা, আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রত করতে হবে। ভয়কে জয় করতে হবে এবং নিজের জীবন উৎসর্গ করতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

সবশেষে বলা যায় মুসলিমদের উৎসব আশুরার তাৎপর্য এবং কারবালার শিক্ষা  আমাদের মুসলিমদের জীবনের একটি মূল্যবান ধাপ। এর শিক্ষা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। তাই আসন্ন আশুরায় আমাদের ধর্মীয় আবেগ ভুলে না গিয়ে আমরা এর সরণে আমাদের করনীয়সমূহ মেনে চলব। আজকের এই পোস্টটি আপনাদের ভাল লেগে থাকলে আপনার পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করুন এবং কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url