রসায়ন বা কেমিস্ট্রিতে অনার্স শেষ করে কোথায় ক্যারিয়ার গড়ব

রসায়ন বা কেমিস্ট্রিতে অনার্স শেষ করে কোথায় ক্যারিয়ার গড়ব তা নিয়ে চিন্তিত থাকলে আপনার চিন্তার পথকে আরও সহজ করে দেওয়ার জন্য আজকের এই পোষ্ট। এ সম্পর্কে জানতে পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
রসায়ন বা কেমিস্ট্রিতে অনার্স শেষ করে কোথায় ক্যারিয়ার গড়ব

আমাদের মধ্যে অনেকেই রসায়ন বা কেমিস্ট্রিতে অনার্স শেষ করেছি কিন্তু বুঝছিনা কোথায় ক্যারিয়ার গড়ব। তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক রসায়ন বা কেমিস্ট্রিতে অনার্স শেষ করে কোথায় ক্যারিয়ার গড়ব।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে ছেলেমেয়েদের পাশাপাশি বাবা মায়ের চিন্তার বিষয় অনার্স শেষ করে ক্যারিয়ার কোথায়। বাংলাদেশিদের এই চিন্তা এখন দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে কারন এই দেশে সব বিষয়েই ভাল ক্যারিয়ার আছে এমনটা নয় এর কারন এই দেশে বিষয় অনুযায়ী চাকরির সুযোগ কম। 

আবার দেখা যায় প্রতিবছর অনার্স পাস করা অনেক ছাত্র ছাত্রী বের হলেই চাকরির বাজারে আসন কম। রসায়ন বা কেমিস্ট্রি অনেক খুবই উঁচুমানের একটা সাবজেক্ট। গবেষণার কাজে এই সাবজেক্টের গুরুত্ব অনেক বেশি কিন্তু বাংলাদেশে পর্যাপ্ত গবেষণার সুযোগ না থাকার কারনে রসায়ন বা কেমিস্ট্রিতে অনার্স শেষ করে কোথায় ক্যারিয়ার গড়ব তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়ায়। আজকে এই প্রতিপাদ্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

রসায়ন বা কেমিস্ট্রি কি এবং অনার্সে রসায়নে কি পড়ানো হয়?

বিজ্ঞানের এক অপার মিস্ট্রি বলা হয় রসায়নকে। রসায়নের মধ্যে অনেক ভাগ আছে যেমন, জৈব রসায়ন, অজৈব রসায়ন, ভৌত রসায়ন, প্রাণ রসায়ন, পরিবেশ রসায়ন, কৃষি রসায়ন, খাদ্য রসায়ন, শিল্প রসায়ন, পলিমার রসায়ন, নিউক্লিয়ার রসায়ন, মেডিসিনাল রসায়ন, বিশ্লেষণী রসায়ন প্রভৃতি। 

মূলত এই জগতে যত ধরণের পদার্থ আছে এবং তাদের ধর্ম, বৈশিষ্ট্য, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া প্রভৃতির উপর ভিত্তি করে জীবন ক্ষেত্রে তাদের কিভাবে কাজে লাগানো যায় এসবের উপরই অনার্সে পড়াশোনা করানো হয়। এই পড়াশোনার মাধ্যমে আমাদের পুরো জগতের প্রতিটি জিনিস যে অণু, পরমাণু, ইলেকট্রন-প্রোটন এসব দিয়ে তৈরি সেগুলোর সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুনঃ ২০২৪ সালের বিশ্বের শীর্ষ ২০টি দেশের উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা

রসায়ন বা কেমিস্ট্রি আমাদের স্বাস্থ্যসেবা, উৎপাদন, প্রযুক্তি, কৃষি এবং বায়োটেকনোলজির প্রভৃতি ক্ষেত্রে নানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

রসায়ন বা কেমিস্ট্রিতে অনার্স শেষে ক্যারিয়ার কোথায়?

রসায়ন বা কেমিস্ট্রিতে অনার্স শেষে সরকারির পাশাপাশি বেসরকারিতেও অনেক উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ আছে। সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ আছে তা হল,
  • ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
  • মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
  • প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
  • খাদ্য ও চিনিশিল্প কর্পোরেশন।
  • ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর।
  • ফরেনসিক ল্যাব।
  • পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
  • খাদ্য অধিদপ্তর।
  • সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন।
  • বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (PDB)।
  • সমরাস্ত্র কারখানা।
  • বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (BCSIR)।
  • বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন(BSTI)।
  • ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
  • বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (BAEC)।

বেসরকারি ও বহুজাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে যেসব চাকরির সুযোগ আছে তা হল,
  • গার্মেন্টস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।
  • ডাইং সেক্টর।
  • শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।
  • সফট ড্রিংকস।
  • ভোজ্যতেল।
  • পলিমার।
  • খাদ্যদ্রব্য।
  • কসমেটিকস।
  • ওষুধ।
  • সিমেন্ট।
  • সার।
  • কীটনাশক।
  • পেইন্টস।
  • মেটাল।

রসায়ন বা কেমিস্ট্রিতে অনার্স শেষ করে বিভিন্ন চাকরির বর্ণনা

রসায়ন বা কেমিস্ট্রিতে অনার্স শেষ করে চাকরির ক্ষেত্রে কোথায় ক্যারিয়ার গড়ব সেসব চাকরি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল,

কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার

কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর আরেক নাম রাসায়নিক প্রকৌশল। প্রাকৃতিক ও পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানের সাথে জীবনবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ডিজাইন, গণিত, উৎপাদন, রূপান্তর, বিকাশ, পরিচালনা, পরিবহণ, শিল্প প্রক্রিয়া প্রভৃতি বিষয়গুলির মেলবন্ধনে হয় কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। 

আরও পড়ুনঃ বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কার্যকারী গাইডলাইন এবং ধারণা

সহজভাবে বলতে গেলে এটা বলতে হয় যেকোনো কাঁচামালকে পণ্যে কিভাবে রূপান্তর করব এটাই কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং শেখায়। এই বিভাগে চাকরির ক্ষেত্রে আপনাকে রসায়নের পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং এ চার বছর অনার্স করা লাগবে। দক্ষ একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের বেতন বার্ষিক প্রায় ৮৬,০০০ ডলার। 

 ফার্মাকোলজিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার

রসায়নের একটি পড়াশোনা হল ফার্মাকোলজি। এখানে মানবদেহে কোন ঔষধ কিভাবে কাজ করে তা অধ্যয়ন করানো হয়। একজন ফার্মাকোলজিস্টকে মানুষের উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে সুপারিশ করা, গবেষণা করা, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল দেওয়া, প্রতিবেদন করা এবং এর নথিভুক্তকরন এসব সামলাতে হয়। একজন ফার্মাকোলজিস্টের বছরে আয় দাঁড়ায় আনুমানিক ৯০,০০০ ডলার।

একাডেমিক গবেষক/ শিক্ষক হিসেবে ক্যারিয়ার

বিভিন্ন ধরণের পদার্থের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য, তাদের নিরাপদ ব্যবহার এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর উপায়, তার ফলাফল, অণু-পরমাণু, যৌগ, মৌল এসব বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বিস্তারিত শিক্ষা দেওয়া একাডেমিক গবেষক বা শিক্ষকদের কাজ। 

আমাদের দেশে স্কুলে রসায়নে শিক্ষকতা করার যোগ্যতার জন্য স্কুলশিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি MSc ডিগ্রীর প্রয়োজন হয়। কলেজে শিক্ষকতা করতে যোগ্যতা লাগবে নুন্যতম MSc ডিগ্রী ও NET উত্তীর্ণ হওয়া। 

বায়োটেকনোলজিস্ট / জৈবপ্রযুক্তিবিদ হিসেবে ক্যারিয়ার

বর্তমান সময়ে পৃথিবীর অন্যতম চরম সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে বায়োটেকনোলজি। বিভিন্ন পণ্যের বিকাশে জৈবিক সিস্টেম বা জীবন্ত প্রাণীর ব্যবহার খুবই সাফল্যের সাথে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রয়োগ এর মাধ্যমে থেরাপিউটিক প্রোটিন ও অন্যান্য ওষুধ উৎপাদনে খুব সক্রিয় ভূমিকা পালন করে বায়োটেকনোলজি। 

এই সেক্টরে একজন দক্ষ বায়োটেকনোলজিস্টের বেতন বছরে প্রায় ৭৫,০০০-৯০,০০০ ডলার।

টক্সিকোলজিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার

একজন টক্সিকোলজিস্টের কাজ হল সঠিক রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট বিষ যা  জীবন্ত প্রাণীর মধ্যে অবাঞ্ছিত প্রভাব বিস্তার করে সেগুলোর ক্ষতিকারক প্রভাব ও তাদের বিষাক্ততা নির্ধারণ করা। একজন টক্সিকোলজিস্টের কাজের ক্ষেত্রসমূহ হল হাসপাতাল, পরিবেশ সংস্থা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিভাগ, ফরেনসিক ল্যাবরেটরি প্রভৃতি জায়গা।

ভূ-রসায়নবিদ হিসেবে ক্যারিয়ার

ভূ-রসায়নবিদ বলতে বোঝায় পৃথিবীর রাসায়নিক গঠন প্রক্রিয়া ও অন্যান্য ভৌত ধর্মগুলির অধ্যয়ন, খনিজ রাসায়নিক উপাদানগুলির উত্তোলন ও বণ্টন, মাটি ও জলের পরীক্ষা এসব। একজন ভূ-রসায়নবিদের বার্ষিক আয় প্রায় ১,০০,০০০ ডলার।

প্রসাধনী রসায়নবিদ হিসেবে ক্যারিয়ার

কসমেটিক বা প্রসাধনী শিল্পে আমরা যত ক্রিম, লোশন, ডিওডোরেন্ট, পাউডার, মেকআপ প্রোডাক্ট দেখি এসবই তৈরি হয় কসমেটিক বা প্রসাধনী রসায়নবিদদের তত্ত্বাবধানে। এছাড়াও আরও অনেক কাজ প্রসাধনী রসায়নবিদরা করে থাকেন। 

উদাহরণ হিসেবে রঞ্জকের উপর পরীক্ষানিরীক্ষা, pH রিডিং পরিচালনা, প্রোডাক্টগুলির গুণমান ও সুরক্ষার জন্য প্রোটোটাইপ পরীক্ষা করা, গ্রাহকদের কি চাহিদা, নিত্যনতুন কি প্রোডাক্ট আনা যায়-সেগুলির গবেষণা ও পর্যালোচনা, উৎপাদন প্রক্রিয়া চলাকালীন জীবাণুমুক্ত কাজের পরিবেশ বজায় রাখা প্রভৃতি। এ সেক্টরে বার্ষিক আয় প্রায় ৪০,০০০ ডলার।  

ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার

রসায়নের আরেকটি সেক্টরের নাম হচ্ছে ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনোলজি। একজন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট এর কাজ মানবশরীরের টিস্যু, তরল বা অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা। 

এই পদে কাজের জন্য শুধু রসায়ন অধ্যয়ন করলেই হবেনা এর সাথে ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানের দু’বছরের সহযোগী ডিগ্রী বা সার্টিফিকেশন পরীক্ষায় পাশ করা জরুরী। এখানে পড়াশোনা শেষ করে যেসব স্থানে চাকরি পাবেন তা হল হাসপাতাল, ল্যাব, চিকিৎসকদের অফিস, বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি। বার্ষিক আয় প্রায় ৪০,০০০ ডলার।

চিকিৎসা সহকারী হিসেবে ক্যারিয়ার

এরা মূলত স্বাস্থ্যসেবার ক্লিনিক্যাল ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এছাড়াও এরা অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় নির্ধারণ করেন, রোগীর ব্যক্তিগত তথ্য ও Case History-এর রেকর্ড বজায় রাখার পাশাপাশি ডাক্তারদের পরীক্ষায় সহায়তা করেন। বার্ষিক আয় বছরে প্রায় ৩৫,০০০ ডলার।

 বস্তুবিজ্ঞানী হিসেবে ক্যারিয়ার

বস্তুবিজ্ঞানীদের কাজ হচ্ছে  বিজ্ঞানীদের ব্যর্থ উদ্ভাবনের উপর গবেষণা, রাসায়নিক কাঁচামাল যুক্ত করা এবং বিভিন্ন পণ্যের উন্নতি ও বিকাশ সাধন। এদের বার্ষিক আয় প্রায় ৯০,০০০ ডলার ।

 ফার্মাকিউটিক্যালস পেশাদার হিসেবে ক্যারিয়ার

একজন ফার্মাকিউটিক্যালস এর কাজগুলো হল,
  • পণ্যের নমুনা সরবরাহ।
  • ক্লায়েন্টদের চাহিদা অ্যাক্সেস করা।
  • বিভিন্ন ওষুধ বাজারজাত করা।
  • তথ্য আদানপ্রদান প্রভৃতি।
বার্ষিক আয় প্রায় ১,১০,০০০ ডলার। 

সামুদ্রিক রসায়নবিদ বা সমুদ্রবিজ্ঞানী হিসেবে ক্যারিয়ার

সামুদ্রিক রসায়নবিদ বা সমুদ্রবিজ্ঞানীদের কাজগুলো হল বিশ্বের সকল সাগর, মহাসাগরের রাসায়নিক গঠন ও প্রক্রিয়ার অধ্যয়ন করা। এদের বার্ষিক আয় প্রায়  ৪০,০০০ ডলার। 

খাদ্য রসায়নবিদ হিসেবে ক্যারিয়ার

খাদ্য রসায়নবিদ এর কাজগুলো হল খাদ্যের জৈবরাসায়নিক প্রকৃতি, শরীরে তাদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, তাদের বৈশিষ্ট্য, তাদের রাসায়নিক গঠনের বিশ্লেষণ,মান পরীক্ষা এসব কিছু সম্পন্ন করে থাকেন। এ সেক্টরে বার্ষিক উপার্জন প্রায় ৬৮,০০০ ডলার।

ন্যানো প্রযুক্তিবিদ হিসেবে ক্যারিয়ার

ন্যানোপ্রযুক্তিবিদ্দের প্রধান কাজ হল ন্যানোপার্টিকেলসকে কাজে লাগিয়ে আরও উন্নত প্রযুক্তি গড়ে তোলা। ন্যানো প্রযুক্তিবিদ হতে হলে আপনাকে রসায়নে অনার্স করার পাশাপাশি  ডক্টরেট, PhD, প্রভৃতি উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করতে হবে। এদের বার্ষিক আয় প্রায়  ১,০০,০০০ ডলার।

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে ক্যারিয়ার

অপরাধ জগতে অপরাধ প্রমাণের ক্ষেত্রে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের অবদান অনেক। কোথাও কোন অপরাধ সংঘটিত হলে সেখানকার স্যাম্পল নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে আসল তথ্য দিতে সাহায্য করে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। 

রক্ত, DNA, বারুদের অবশিষ্টাংশ বিশ্লেষণ প্রভৃতি নিয়ে তাদের কাজ করতে হয় এছাড়াও পুঙ্খানুপুঙ্খ ডকুমেন্টেশন, অপরাধের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ এগুলোও তাদের করতে হয়। বার্ষিক উপার্জন প্রায় ৭৯,০০০ ডলার।

অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি বা ফলিত রসায়ন নিয়ে অনার্স শেষে কাজের সম্ভাবনা

অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি বা ফলিত রসায়নে কেমিস্ট্রি এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিস্ট্রি অ্যান্ড টেকনোলজি বিস্তারিত পড়ানো হয়। এসব পড়াশোনার মধ্যে আছে সার, কাগজ, সিমেন্ট, রং, চামড়া, বস্ত্র, পানি পরিশোধন, ব্যাটারি, ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প প্রভৃতি। কেমিস্ট্রি, অর্গানিক, ইন-অর্গানিক, ফিজিক্যাল, অ্যানালাইটিক্যাল কেমিস্ট্রি, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল টেকনোলোজি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিস্ট্রি, ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স ও পলিমার এসব বিস্তারিত পড়ান হয় এই সাবজেক্টে।

 
এ বিষয়ে পড়াশোনা করে যেসব জায়গায় ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ আছে তা নিম্নরূপ,
  • বিসিআইসির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান
  • বিভিন্ন সার কারখানা (আশুগঞ্জ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার)
  • কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি (বিএএসএফ)।
  • বেক্সিমকো। 
  • স্কয়ার।
  • ইনসেপটা।
  • বার্জার।
  • বাটা।
  • নেসলে।
শিক্ষক হিসেবে যোগদান করতে পারেন,
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি বিভাগে।
  • কেমিস্ট্রি।
  • টেক্সটাইল বিভাগ।
  • লেদার ইনস্টিটিউটে।

বিদেশে ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা 

এই সাবজেক্ট থেকে পাস করে দেশের বাইরেও ক্যারিয়ার গড়ার অনেক সুযোগ আছে তার জন্য আপনাকে বাইরের দেশে রসায়নের উপর  উচ্চতর ডিগ্রী নিতে হবে। যেসব দেশে সুযোগ আছে সেগুলো হল,
  • যুক্তরাষ্ট্র।
  • কানাডা।
  • অস্ট্রেলিয়া।
  • জাপান।
  • কোরিয়া। 
  • ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।
এসব দেশে মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রির জন্য রসায়নের যেসব বিষয়ে পড়াশোনা করতে যেতে পারেন সেগুলো হল,
  • কেমিস্ট্রি।
  • কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। 
  • ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং।
  • ফাইবার অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স। 
  • ফরেস্ট বায়োম্যাটেরিয়ালস।
  • বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং।
  • টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং।
  • ফুড সায়েন্স ইত্যাদি।
 তবে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীরা রসায়নে উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য যাচ্ছে  ইউএসএর বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে যেমন,
  • নর্থ ক্যারোলাইনা। 
  • সাউথ ক্যারোলাইনা। 
  • ভার্জিনিয়া।
  • আটলান্টা।
  • সাউথ ডাকোটা।
  • ফ্লোরিডা।
  • কানসাস।
  •  শিকাগো।
  • কানেটিকাট।
  • ক্যালিফোর্নিয়া।
  • টেক্সাস।
রসায়ন বা কেমিস্ট্রিতে অনার্স শেষ করে গবেষণা কাজেও নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে পারেন। যেসব বিষয়ে আপনি গবেষণা করতে পারেন সেগুলো হল, 
  • ন্যানো টেকনোলোজি।
  • ন্যাচারাল প্রোডাক্টস কেমিস্ট্রি।
  • গ্রিন সিনথেসিস।
  • মেডিসিনাল কেমিস্ট্রি।
  • বায়ো পেস্টিসাইড প্রভৃতি।

 লেখকের মন্তব্য

আজকের পোস্টে চেষ্টা করলাম রসায়ন বা কেমিস্ট্রিতে অনার্স শেষ করে কোথায় ক্যারিয়ার গড়ব এ ব্যাপারে একটা পরিষ্কার ধারণা দিতে যাতে যারা সদ্য রসায়ন বা কেমিস্ট্রিতে অনার্স শেষ করেছেন তাদের সিদ্ধান্ত নিতে যেন সুবিধা হয়। আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। এ পোস্টটি পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url