জিলহাজ মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমলসমূহ এবং মক্কায় হজ পালনের নিয়ম-২০২৪

আসন্ন জিলহাজ মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমলসমূহ এবং মক্কায় হজ পালনের নিয়ম সম্পর্কে প্রতিটি হজ যাত্রীদের জানা অতি গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা যারা এ ব্যাপারে জানার আগ্রহ প্রকাশ করছেন আজকের পোস্টটি তাদের জন্য। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকার পড়বেন। 

জিলহাজ মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমলসমূহ এবং মক্কায় হজ পালনের নিয়ম-২০২৪

২০২৪ সালে জিলহাজ মাসে মক্কায় হজ পালন করতে যাবে সারা দুনিয়া জুরে লক্ষ্য লক্ষ্য মুসল্লি। এ সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল এবং হজ পালনের নিয়ম আমাদের জানার জন্য চলুন দেরি না করে মুল আলোচনায় চলে যাওয়া যাক।  

ভূমিকা

হজ আমাদের মুসলমানদের বিশ্ব সম্মেলন এবং ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ। যাদের সামর্থ্য আছে তাদের জীবনে একবার হজ পালন ফরয। এখানে সামর্থ্যবান বলতে তাদের বোঝানো হয়েছে যাদের হজের যাবতীয় খরচ বহনের, বায়তুল্লাহ শরিফে গমনাগমনের এবং একই সঙ্গে পরিবারের ভরণ-পোষণের সামর্থ্য রয়েছে। হজ হচ্ছে বান্দা এবং আল্লাহর সাথে সেতুবন্ধনের উপায়। 

এ ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি সঠিকভাবে হজ পালন করেন তিনি আগের সব গুনাহ থেকে নিষ্পাপ হয়ে যাবেন।" আজকের আলোচনায় তাই জিলহাজ মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমলসমূহ এবং মক্কায় হজ পালনের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব। 

জিলহাজ মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমলসমূহ

জিলহাজ মাস আরবি ১২ মাসের মধ্যে সর্বশেষ মাস। শাওয়াল ও জিলকদ এই দুই মাস পেরোলেই আসে পবিত্র হজের মাস জিলহজ। হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনা মতে, জিলহজের প্রথম দশ দিন অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে এবং এই দশ দিন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠতম দিন। এ দিনগুলোতে ইবাদত ও আমলের প্রতি খুব বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ মুসলিমদের উৎসব আশুরার তাৎপর্য এবং কারবালার শিক্ষা

এই মাসের প্রথম দশ দিন খুবই মর্যাদাপূর্ণ, মাহাত্ম্যপূর্ণ এবং শ্রেষ্ঠ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেছেন,  ‘শপথ প্রভাতের। শপথ ১০ রাতের। ’ (সুরা ফাজর, আয়াত: ১-২)। আল্লাহতায়ালা মোট চারটি মাসকে পবিত্র এবং সম্মানিত করেছেন এর মধ্যে জিলহাজ মাস একটি। নিম্নে জিলহাজ মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলো দেওয়া হল,

নখ ও চুল কাটা থেকে বিরত থাকাঃ মক্কায় হজ পালনের নিয়মের মধ্যে একটি হচ্ছে জিলহজের  চাঁদ যখন থেকে দেখা যাবে তখন থেকে কোরবানি হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন প্রকার নখ, চুল, মোচ, নাভির নিচের পশম ইত্যাদি কাটা যাবেনা। এই আমল যে কোরবানি করতে অক্ষম তার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। 

এ প্রসঙ্গে রাসুল((সা.) বলেছেন, "যখন জিলহজের দশক শুরু হবে তখন তোমাদের মধ্যে যে কোরবানি করবে সে যেন তার চুল নখ না কাটে।" (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৯৭৭)। 

হজ পালন করাঃ এই মাসের এটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে হজ পালন করা। ইসলামের মৌলিক পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে হজ একটি। হজ এর মূল কাজগুলো জিলহজের ৮ থেকে ১২ নম্বর দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। 

সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৯৭ তে বলা হয়েছে, "মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ওই গৃহের হজ করা তার জন্য অবশ্যকর্তব্য। আর যে (এই নির্দেশ পালন করতে) অস্বীকার করবে তার জেনে রাখা উচিত যে আল্লাহ দুনিয়াবাসীদের প্রতি সামান্যও মুখাপেক্ষী নন।" 

গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবেঃ এই মাসে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার। আল্লাহতায়ালা এ মাসে নিজেদের প্রতি অবিচার করতে বারণ করেছেন অর্থাৎ আল্লাহর অবাধ্য হতে মানা করেছেন। 

কোরবানি করাঃ এই মাসের ১০,১১ বা ১২ নম্বর দিনে কোরবানি সম্পন্ন করতে হবে যা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। এই কোরবানি সবার জন্য ফরয নয়। শুধুমাত্র তাদের জন্য ওয়াজিব যারা সাবালক এবং  সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী ও নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক। এ ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে। ’ (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৭৫৬৬)। 

বেশি বেশি জিকির করাঃ অনেক আমলের মধ্যে এই মাসে আরেকটি আমল হচ্ছে বেশি বেশি জিকির করা। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার এবং আলহামদু লিল্লাহ এই সময় বেশি বেশি পড়া।জিলহাজ মাসের প্রথম দশ দিনের আমল আল্লাহতায়ালার কাছে অধিক প্রিয় অন্য যেকোনো মাসের তুলনায় তাই এই সময় যত বেশি পারা যায় তত লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার এবং আলহামদু লিল্লাহ পরতে হবে। 

প্রথম ৯ দিন রোজা রাখাঃ জিলহাজ মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমলসমূহ এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা যা মুস্তাহাব। এই সময় প্রতিটি রোজা এক বছরের রোজা রাখার সমান। এই সময় প্রতিটি রাত লাইলাতুল কদরের রাতের সমান তাই এই সময় বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগি করতে হবে। 

তবে যদি কারও পক্ষে এই ৯ দিন রোজা রাখা সম্ভব না হয় বা প্রতিদিন ইবাদত করা সম্ভব না হয় তাহলে যতটুকু সম্ভব রোজা ও ইবাদত করতে হবে তাতেও সওয়াব পাওয়া যাবে। 

তাকবিরে তাশরিক আদায় করাঃ পুরুষ,নারী কিনবা বৃদ্ধ প্রতিটি মুসলমানের উপর তাকবিরে তাশরিক আদায় করা ওয়াজিব। মোট ২৩ ওয়াক্তের নামায হয় ৯ জিলহজ ফজর থেকে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত এই সময় নামাযের পর একবার করে তাকবিরে তাশরিক বলতে হবে। এই সময় নামায কাজা হয়ে গেলেও ওই সময়ের ভিতর তাকবিরে তাশরিক আদায় করে নিতে হবে। পুরুষেরা উচ্চ আওয়াজে তাকবির বলবে আর মহিলারা নিম্নস্বরে। 

আরাফার দিনে রোজা রাখাঃ জিলহাজ মাসের ৯ নম্বর দিন হচ্ছে আরাফার দিন। এই সময় কেও রোজা রাখলে তার দুই বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে ইনস শা আল্লাহ। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আরাফার দিনের রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা রাখি যে তিনি আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। ’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)। 

ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করাঃ প্রতিটি সুস্থ পুরুষের জন্য ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। আমাদের নবীজি (সা.) ঈদুল আজহার জামাত আদায় করতেন সূর্যোদয়ের আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে। আমাদেরকেও সেই মোতাবেক ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করতে হবে। 

মক্কায় হজ পালনের নিয়ম

মক্কায় হজ পালন করতে যাওয়ার আগে আমাদের কিছু বিষয় খুব ভালভাবে মাথায় রাখতে হবে। নিচে এই বিষয়ে আলোচনা করা হল,  

  • বিমানে উঠার আগে খুব ভালভাবে ইহরাম বাঁধতে হবে। 
  • গন্তব্য স্থানে পৌঁছানোর পর বিমান থেকে নেমে  নিজের থাকার জায়গায় যেয়ে প্রয়োজনীয় কাজ শেরে ওযু করে মুয়াল্লিমের যারা মনোনীত লোক আছে তাদের সাথে একসাথে কাবাঘর গমন করতে হবে। 
  • এরপর কাবাশরীফ যেয়ে সাতবার কাবাঘরের চারিদিক ঘুরতে হবে। এরপর হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করতে হবে। যদি চুম্বন করা সম্ভব না হয় তাহলে হাতের ইশারা করে হাতের উপর চুম্বন করতে হবে। 
  • সাতবার চক্কর দিতে হয় তার মধ্যে প্রথম তিনবার চক্করকে ‘রমল’বলে। এ সময় একটু দ্রুত চলতে হবে অর্থাৎ একটু শক্তি প্রদর্শন করতে হবে। 
  • তাওয়াফ করার সময় পুরুষেরা ‘ইজতেবা’ করবে অর্থাৎ গায়ে যে চাদর জড়াবে সেটা ডান হাতের নিচ দিয়ে নিতে হবে তারপর বাম কাঁধে রাখতে হবে। এমনভাবে এটা করতে হবে যেন ডান কাঁধ ও বাহু দেখা যায়। এটাকে সুন্নাত বলে।
  • সাফা থেকে শুরু করে মারওয়া পাহাড় পর্যন্ত মত সাতবার দৌড়াতে হবে যেন সপ্তমবার দৌর মারওয়াতে এসে শেষ হয়।  
  • এরপর মাথা চুল কেতে ফেলতে হবে মানে ন্যাড়া করে ফেলতে হবে। 

হজের ফরয কাজের মধ্যে রয়েছে ইহরাম বাঁধা এবং আরাফাতের ময়দানে অবস্থান এবং তাওয়াফুয যিয়ারত করা। 

ইহরাহ অবস্থায় কিছু জিনিস থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে,

কাপড়ের ক্ষেত্রে সেলাইযুক্ত যেকোনো  কাপড় পরিধান করা যাবেনা এমনকি জুতা ব্যবহার না করে স্যান্ডেল ব্যবহার করা। 

  • মস্তক ও মুখমন্ডল ইহরামের কাপড় দ্বারা না ঢাকা।
  • এমন জুতা না পড়া যাতে পায়ের পিঠ ঢেকে যায়।
  • চুলকাটা বা নখকাটা যাবে না।
  • ঘ্রাণযুক্ত তৈল বা আতর লাগানো যাবেনা। 
  • স্ত্রীর সঙ্গে সংগম থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • যৌন উত্তেজনামূলক কোনরকমের কথা বা কাজ করা যাবে না।
  • কোন পশুপাখি শিকার করা যাবে না।
  • ঝগড়া বিবাদ বা যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • চুল বা দাঁড়িতে এমন কিছু করা যাবেনা যাতে ছিঁড়ার আশঙ্কা থাকে। 
  • শরীরে কোন প্রকার সাবান লাগানো যাবেনা।
  • ছোটখাটো কোন প্রকার জীব হত্যা করা যাবেনা যেমন, মশা, মাছি,উকুন, ছারপোকা ইত্যাদি।
  • সকল প্রকার গুনাহর কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। 

হজের মুল কাজসমূহ

পূর্বে যেগুলো আলোচনা করলাম সেগুলো ছাড়াও হজের মুল কাজ আরও আছে যেগুলো শুরু হয় ৮ জিলহজে এবং শেষ হয় ১২ জিলহজে। এই পাঁচ দিন আমাদের খুব সতর্কতার সাথে কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে।
  • ৮ জিলহজঃ এই দিন ইহরাম বেধে মুয়াল্লিমের মুয়াল্লিমের ব্যবস্থাপনায় মক্কার কাছাকাছি একটি উপশহর 'মিনায়' পৌছাতে হবে। তারপর সেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করতে হবে।
  • ৯ জিলহজঃ সকাল হলে মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে পৌছাতে হবে এবং সেখানে  জোহর ও আছর এর নামায একত্রে পড়তে হবে। খুৎবা শেষ হওয়ার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তালবিয়া, তাহমিদ,ইসতিগফার, দোয়া-দরুদ এবং আল্লাহর নিকট কান্নাকাটি করতে হবে। সূর্যাস্তের পর এবার মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা দিতে হবে। যদি মাগরিবের ওয়াক্ত চলে যায় তাহলে গভীর রাত হলেও সেখানে পৌঁছানোর পর মাগরিব এবং এশার নামায একসাথে আদায় করে নিতে হবে।মাগরিব এবং এশার নামায একসাথে আদায় করায় হজের আহকাম। নামায আদায় শেষে মুজদালিফায় বিশ্রাম নিয়ে পরের দিন সকালে ফজর সালাত আদায় করে সূর্যাস্তের আগেই আবার মিনার উদ্দেশে যাত্রা করতে হবে এবং মুজদালিফা থেকে ন্যূনতম ৪৯টি  টি পাথর আনতে হবে।  
  • ১০ জিলহজঃ মিনায় পৌঁছানোর পর শয়তানের বড় স্তম্ভে পাথর মারতে মোট ৭ টি পাথর কিন্তু অন্য স্তম্ভগুলিতে পাথর মারা যাবেনা। পাথর মারা শেষ হয়ে গেলে এরপর কুরবানির নির্দিষ্ট নিয়মে কুরবানি করতে হবে। কুরবানি করা শেষ হয়ে গেলে মাথার চুল ফেলে দিতে হবে বা মুড়াতে হবে। 
  • এসব কাজ যখন শেষ হয়ে যাবে এরপর  তাওয়াফে জিয়ারত করতে হবে। তবে অবশ্য যদি অত্যধিক ভিড় থাকে তাহলে এই ভিড় এড়ানোর জন্য এই তাওয়াফ ১২ জিলহজ পর্যন্ত বিলম্ব করা যেতে পারে।  
  • ১১ জিলহজঃ এই দিন শুধুমাত্র শয়তানের উদ্দেশে তিনটি স্তম্ভে মোট ২১ টি পাথর মারতে হবে ৭ টি করে। 
  • ১২ জিলহজঃ একইভাবে আবার ২১ টি পাথর মারতে হবে ১২ জিলহজে। তাহলে ১০,১১ এবং ১২ জিলহজ মিলিয়ে মোট ৪৯ টি পাথর মারতে হবে। ১১ এবং ১২ জিলহজে পাথর মারার সময় ছোট থেকে বড় স্তম্ভের দিকে এগুতে হবে। ১২ জিলহজের পর একজন হাজি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে। 

মদিনায় নামায আদায় করা

একজন হজ যাত্রীকে অবশ্যই মদিনায় ৮ দিন অবস্থান করে ৪০ ওয়াক্ত নামায আদায় করতে হবে যদিও এটা হজের নিয়মের মধ্যে পড়ে না কিন্তু কোন রকম ওজর বা সমস্যা ছাড়াও কেও যদি মদিনায় না যায় তাহলে এটি রাসুল(সা.) এর সঙ্গে বেয়াদবির শামিল হবে। হজের আগে যদি কেও মদিনায় না যেতে পারে তাহলে হজের পরে অবশ্যই মদিনায় ৮ দিন অবস্থান করে ৪০ ওয়াক্ত নামায আদায় করতে হবে। বিদায় নেওয়ার আগে অবশ্যই বিদায়ী তাওয়াফ করতে হবে এটি ওয়াজিব।   

লেখকের মন্তব্য

হজ আমাদের প্রত্যেক মুসলমানদের জীবনের একটা স্বপ্ন। একদিন কাবাশরীফ যেয়ে আল্লাহর ঘর দেখব, কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইব। এই হজ আমাদের অনেকের মধ্যে ফরয হয় আবার অনেকের হয়না সামর্থ্যের কারনে। 

আল্লাহ যাদেরকে সামর্থ্য দিয়েছেন তাদের উচিত আর বিলম্ব না করে হজ করে ফেলা। আজকের এই পোস্টটি আগামী হজ যাত্রীদের জন্য। তাদের জন্য শুভকামনা থাকল আপনারা যেন সুন্দর ও সহীহভাবে হজ করে আসতে পারেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url