তীব্র তাপদাহে অসহ্য গরমে নিজের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয়সমূহ

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। ধনী থেকে গরীব এমনকি প্রাণীকুল কেউ রেহায় পাচ্ছেনা। এই অসহ্য গরমে বেড়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তাই নিজের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় করনীয় উপায়সমূহ আজকের এই পোস্টে আলোচনা করা হবে।

তীব্র তাপদাহে অসহ্য গরমে নিজের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয়সমূহ

ই তীব্র তাপদাহে অসহ্য গরমে আমদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এর থেকে বাঁচার উপায় আমরা অনেকেই খুঁজে বেড়াচ্ছি। এমনি কিছু উপায় সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন দেরি না করে মূল আলোচনায় চলে যাওয়া যাক।

ভূমিকা

প্রতি বছর আমরা বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব বুঝতে পারছি। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। যে ভাবে প্রতি বছর তীব্র তাপদাহে অসহ্য গরম অনুভব হচ্ছে তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব যে শুধু আবহাওয়ার উপর পড়েছে তা নয় মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিও বেড়েই চলেছে। আজকের আলোচনায় সেসব বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করব। 

তীব্র তাপদাহে আমাদের যে ক্ষতি হয় এবং তা থেকে পরিত্রাণের উপায়সমূহ আজকের আলোচনায় স্থান পাবে।

তাপপ্রবাহ কি 

তাপপ্রবাহ বা আরেকভাবে বলা হয় দাবদাহ বলতে বোঝায় বায়ুর অতিরিক্ত উষ্ণ অবস্থা। তাপপ্রবাহ দ্বারা গরম আবহাওয়ার তারতম্য বোঝানোর পাশাপাশি স্বল্পকালব্যাপী এর অস্বাভাবিক স্থায়িত্বকেও বোঝায়। এটি শতাব্দীতে মাত্র সংঘটিত হতে পারে। তীব্র তাপদাহে তাপ ও সূর্যালোক মানবদেহ থেকে পানি শোষণ করে নেয় ফলে মানব স্বাস্থ্যের উপর ভয়াবহ প্রভাব পড়ে।

তীব্র তাপদাহে যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা যায়

রোঁদ ও অসহ্য গরমে মানুষের স্বাস্থ্যের অনেক ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় করনীয়সমূহের আগে আমাদের জানতে হবে আমাদের কি কি স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে। এ বেপারে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল,

শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেওয়া

তীব্র তাপদাহে অসহ্য গরমে শরীরে পানিশূন্যতা বেশি দেখা যায়। এই সময় বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকার কারনে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায়।

হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা

তীব্র তাপদাহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি হচ্ছে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়া। এই অসহ্য গরমে কেউ যদি দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে তাহলে তার শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে এবং সে এই অতিরিক্ত তাপ বের করতে পারবে না। এই সময় দেখা যায় বিভিন্ন অসুস্থতা যেমন বিভ্রান্তি, চেতনা হারানো, ঝাপসা দেখা, শুষ্ক ত্বক বা প্রচুর ঘাম, খিঁচুনি ইত্যাদি। এই অসুস্থতাই হলো হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোক। এক্ষেত্রে আরও কিছু লক্ষণসমূহ প্রকাশ পায় যেমন,

  • হ্রদস্পন্দন বা দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস।
  • তীব্র মাথা ব্যথা বা বমি বমি ভাব।
  • মাংসপেশির দুর্বলতা।
  • ত্বকে ফুসকুড়ি, অতিরিক্ত ঘাম বা ঘাম না হওয়া।
  • অবচেতন হয়ে পড়া।

মানুসিক স্বাস্থ্যের অবনতি

তীব্র তাপদাহে অসহ্য গরমে শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানুষিক অসুস্থতাও দেখা যায়। এক্ষেত্রে বেশি দেখা যায় মেজাজ খিটখিটে হওয়া। আবার অতিরিক্ত গরমে ভাল ঘুম হয়না তখন মানুসিক সমস্যা দেখা যায়।

হিট ক্র্যাম্প হওয়ার সম্ভাবনা

যারা এই গরমে অতিরিক্ত পরিশ্রম করে তাদের শরীরে ঘাম বেশি হয়। এই ঘাম শরীরে লবণ ও আর্দ্রতার মাত্রা হ্রাস করে। পেশিতে যখন লবণের পরিমাণ কমে যায় তখন বেদনাদায়ক ক্র্যাম্প সৃষ্টি হয়। এছাড়াও খিঁচুনি হতে পারে।

চর্মরোগ হওয়ার সম্ভাবনা

তীব্র তাপদাহে অসহ্য গরমে শরীরে ঘাম বেশি হয়। ঘাম বেশি হলে শরীরে চর্মরোগ দেখা দিবে যেমন, ঘামাচি, ছত্রাক সংক্রমণ। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ঘামাচি হলে সেখানে চুলকানোর ফলে সংক্রমণের সৃষ্টি হয়।

হিট র‍্যাশ হওয়ার সম্ভাবনা

অসহ্য গরমে অনেক সময় ত্বকের জ্বালাপরা করে একেই বলে হিট র‍্যাশ। এর ফলে পিম্পল বা ছোট ফুসকুড়ি দেখা যায়।

ডায়রিয়া বা বদহজম

তীব্র তাপদাহে অতিরিক্ত গরমে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা অনেক থাকে। এই সময় খাবার খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। সে খাবার গ্রহণ করলে ফুডপয়জনিং হতে পারে।

অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগা

এই অসহ্য গরমে শরীর অতিরিক্ত লবণ ও পানি হারিয়ে ফেলে যার ফলে অত্যধিক ক্লান্তি অনুভূত হয়। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের ক্ষেত্রে এ বেপারটা বেশি দেখা যায়। তাপক্লান্তি হলে আপনার বমি বমি ভাব, দুর্বলতা, মাথা ব্যথা, বিরক্তি, তৃষ্ণা, মাথা ঘোরা, প্রচণ্ড ঘাম, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, প্রস্রাব কমে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দিবে।

গরমের কারনে মৃত্যু

তীব্র তাপদাহে অসহ্য গরমে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়। বাইরের দেশ ইংল্যান্ডে এই সংখ্যা প্রায় দুই হাজারের কাছাকাছি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই মৃত্যু হয় হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক এর কারনে।

তীব্র তাপদাহে বিপদসীমা দক্ষিণ এশিয়ার যে দেশগুলোতে

বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে ২০২৪ সালে অতিরিক্ত তাপমাত্রার রেকর্ড বিগত বছরগুলোতে ছাড়িয়ে যাবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, "জলবায়ুর পরিবর্তন তাপমাত্রা (বাড়ার) চেয়ে অনেক বেশি।" তিনি উদ্বেগের কারন হিসেবে সমুদ্রের অভূতপূর্ব উষ্ণতা, হিমবাহের পশ্চাদপসরণ এবং অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ হ্রাস এইসবকে দায়ী করেছেন। 

এশিয়া অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো চলতি বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের চরম বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছে। এর মধ্যে আছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশ। এসব দেশে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে। অন্যদিকে ইরানে গত বছর সর্বাধিক ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশের তাপমাত্রার অবস্থা নিচে তুলে ধরা হল,

 বাংলাদেশে তাপপ্রবাহের অবস্থা

চলতি মাসের কয়েক সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশে অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। যশোরে রেকর্ড করা হয়েছে প্রায় ৪২.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা গত বছর ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।সৈয়দপুরে গত সপ্তাহে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গায় ৪২.২ ডিগ্রী, ঢাকায় ৪০.৪ ডিগ্রী এবং ফরিদপুরে ৩৯ থেকে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

পাকিস্তানে তাপপ্রবাহের অবস্থা

পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সিন্ধ প্রদেশের একাধিক অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী ছাড়িয়েছে। এ বছর সিন্ধের নওয়াব শাহতে সর্বাধিক তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এছাড়াও মহেঞ্জোদারোতে ৪১ ডিগ্রী, লাহোরে ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রী, বেলুচিস্তানের তুরবত অঞ্চলে ৩৮ ডিগ্রী  এবং করাচিতে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে। 

এখানে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ২০২৩ সালে বেলুচিস্তানের দালবন্দিনে এবং নক্কুন্দিতে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ ৪৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

মালদ্বীপে তাপপ্রবাহের অবস্থা

মালদ্বীপে এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কম যা রেকর্ড করা হয়েছে সর্বাধিক ৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এছাড়াও আদ্দু অ্যাটলের দক্ষিণতম দ্বিপে সর্বাধিক ৩২ থেকে ৩৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস, ফুভাহমুলাহতে ৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।

শ্রীলঙ্কায় তাপপ্রবাহের অবস্থা

চলতি বছরে শ্রীলঙ্কায় গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৭.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অন্যান্য শহরগুলোর মধ্যে কলম্বতে ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, অনুরাধাপুরার বিমানবন্দরে ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ত্রিঙ্কোমালি শহরে সর্বাধিক ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। 

নেপালে তাপপ্রবাহের অবস্থা

এ বছর নেপালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এছাড়াও রাজধানী কাঠমান্ডুর গড় তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, নেপালের লুম্বিনী অঞ্চলে অবস্থিত গৌতম বুদ্ধ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, বিরাটনগর বিমানবন্দর এলাকায় ৩৫ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে।

তীব্র তাপদাহে অসহ্য গরমে নিজের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয়সমূহ   

এই তীব্র তাপদাহে অসহ্য গরমে নিজের স্বাস্থ্য রক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই প্রায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটছে এই তাপজনিত কারনে। এর থেকে বাঁচতে আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে যা নিম্নে তুলে ধরা হল,
  • বাইরের প্রচণ্ড রোদের তাপ থেকে বাঁচতে ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করতে হবে।
  • সবসময়ই চেষ্টা করতে হবে ছায়াযুক্ত স্থানে আশ্রয় নেওয়ার।
  • হালকা রং এবং পাতলা কাপড় পরিধান করতে হবে।
  • শরীরে পানিশূন্যতার ঘাটতি পুরনে বেশি বেশি পানি ও শরবত পান করতে হবে বা সব সময় স্যালাইন সাথে রাখতে হবে।
  • বাইরের কাজ কমিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে বিশেষ করে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত।
  • যাদের দিনে বাইরে ব্যায়ামের অভ্যাস আছে তারা চেষ্টা করেন দিনে বা রাতে করতে।
  • এই অসহ্য গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় রিকশাচালক বা ভানচালকদের। তাদের কাজই হচ্ছে দিনের আলোয় এবং রাতে উভয় সময়ে গাড়ি চালানো। তারা দিনে গাড়ি চালানো বন্ধ রাখলে তাদের ঘরে খাবারের ব্যবস্থা হয়না। তাই তাদের বাঁচাতে আমাদের এগিয়ে আসা উচিত। 
  • প্রতিদিন গোসলের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য।
  • বেশি বেশি গাছ রোপণ করতে হবে যেমন, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম, গলডেন পোথাস ইত্যাদি।
  • ত্বককে এবং চোখকে প্রখর সূর্যালোকের তাপ থেকে বাঁচাতে সান্সক্রিম এবং চশমা ব্যবহার করতে হবে।
  • খাবারের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। বিশেষত যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে পানি ও লবণ আছে যেমন, তরমুজ, ডাব, পাকা কলা, শসা, স্ট্রবেরি ইত্যাদি ফল। ফল ছাড়াও অন্যান্য খাবার যেমন, ঝিঙে, চালকুমড়া, লাউ, চিচিঙ্গা, সজনেডাঁটার পাতলা ঝোল ইত্যাদি।
  • কারও যদি শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা বা মাথা ঝিমঝিম সমস্যা দেখা যায় অবহেলা না করে শীঘ্রই ডাক্তার দেখান।
  • উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

আজকের পোস্টে আপনাদের এই তীব্র তাপদাহে অসহ্য গরমে নিজের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয়সমূহ সম্পর্কে বলার চেষ্টা করেছি। আশা এই পোস্টটি আপনাদের এবং আপনার পরিবার ও আশপাশের প্রতিবেশীদের সাহায্যে আসবে। আপনার এই পোস্টটি পরে ভাল লেগে থাকলে আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করুন এবং নিত্য নতুন আরও তথ্য পেতে পেজটি ফলো করে সাথে থাকুন। আরও জানতে কমেন্ট করুন।   

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url