২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাংলাদেশের বাজেটে যেসবের দাম বাড়ছে যেসবের কমছে

২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাংলাদেশের বাজেটে যেসবের দাম বাড়ছে যেসবের কমছে তা নিয়ে জানার আগ্রহ হয়ে থাকলে আজকের পোস্টে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি বাজেট সম্পর্কিত তথ্য পাবেন। পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।   

২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাংলাদেশের বাজেটে যেসবের দাম বাড়ছে যেসবের কমছে

২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাংলাদেশের বাজেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ বাজেটে যেসবের দাম বাড়ছে যেসবের কমছে তা নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল শুরু থেকেই। তাহলে চলুন দেরি না করে মূল আলোচনায় চলে যায়।  

ভূমিকা

২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাংলাদেশের বাংলাদেশের বাজেট অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করেছেন। বাজেটে অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বড় ধরণের বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। 

রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষে কর ব্যবস্থা সংস্করণ ও ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ জোরদার করা হয়েছে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার বাজেটে সুদৃঢ় নীতি গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আজকের আলোচনায় বাজেট কি, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাংলাদেশের বাজেট এবং এই বাজেটে যেসবের দাম বাড়ছে যেসবের কমছে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

বাজেট কি

বাজেট হল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সরকারের আয় ও ব্যয়ের পূর্বানুমান। এটি সাধারণত এক বছরের পরিকল্পনা হিসেবে তৈরি করা হয় এবং সরকারের অর্থনৈতিক নীতিমালা ও অগ্রাধিকারের প্রতিফলন করে। বাজেট তিনটি প্রধান অংশে বিভক্ত রাজস্ব আয়, রাজস্ব ব্যয় এবং মূলধন ব্যয়। 

আরও পড়ুনঃ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি কিভাবে ব্যবহার করা হবে

রাজস্ব আয় সাধারণত কর ও অন্যান্য উৎস থেকে আসে যা সরকার তাদের বিভিন্ন ব্যয় মেটাতে ব্যবহার করে। রাজস্ব ব্যয় হল দৈনন্দিন প্রশাসনিক খরচ এবং সামাজিক সেবা প্রদান সংক্রান্ত ব্যয়। মূলধন ব্যয় ব্যবহার করা হয় অবকাঠামো উন্নয়ন ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পের জন্য। বাজেটের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা হয়। 

এর প্রধান উদ্দেশ্য হল সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করা এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করা। সরকারের আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতেও বাজেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাংলাদেশের বাজেট

২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাংলাদেশের বাজেটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করে প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার এই বাজেটে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে। এই বাজেটের উল্লেখযোগ্য আরও দিক আছে,

  • বাজেটের মোট আকার প্রায় ৭ লক্ষ্য কোটি টাকা  যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ্য কোটি টাকা।
  • বাজেটের ঘাটতি কমিয়ে আনতে অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
  • কর ব্যবস্থা সংস্করণের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং করজাল সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
  • প্রশাসনিক ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রেখে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
  • শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে মানসম্মত শিক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
  • স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামো ও সেবার মান উন্নয়নের লক্ষে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
  • কৃষিতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
  • তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করা হচ্ছে।
  • জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
  • রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর ও শুল্ক সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
  • দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়ানো হয়েছে।
  • মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে।
  • বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং দেশীয় শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
  • শ্রমিকদের জন্য শ্রম অধিকার ও কল্যাণ উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
  • গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে বিশেষ করে কৃষি ও প্রযুক্তি খাতে।
  • বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে।
  • বাজেটের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাংলাদেশের বাজেটে যেসবের দাম বাড়ছে যেসবের কমছে 

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাংলাদেশের বাজেটে  বেশ কয়েকটি পণ্যের উপর শুল্ক ও কর বৃদ্ধির ফলে তাদের দাম বেড়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য পণ্যগুলোর তালিকা এবং তাদের দাম বৃদ্ধির কারণগুলো দেওয়া হল,

  • মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যাবহারের উপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে এসএমএস এবং কল রেটসহ ইন্টারনেট খরচ বৃদ্ধি হতে পারে।
  • ফার্নেস তেল, লুব্রিকেন্ট, মিনারেল লুব্রিকেন্ট এবং বেজ অয়েলের মূল্য বৃদ্ধির জন্য সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে পণ্যগুলির দাম বৃদ্ধি পাবে।
  • সব ধরণের সিগারেটের উপর সম্পূরক শুল্ক ৬০-৬০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে।
  • এসি এবং রেফ্রিজারেটর তৈরির জন্য ব্যবহৃত কমপ্রেসর এবং ইস্পাত শীটের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে এসি এবং রেফ্রিজারেটরের দাম বৃদ্ধি পাবে।
  • ঘরোয়া পানি ফিল্টারের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে এই পণ্যগুলির দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • এনার্জি সেভিং বাল্ব তৈরির উপকরণের উপর ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে এতে LED বাল্বের দাম বৃদ্ধির সমূহ সম্ভাবনা আছে।
  • কাজু বাদামের উপর আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি দেশের কাজু চাষকে উৎসাহিত করার জন্য করা হয়েছে এবং এতে কাজু বাদামের দাম বৃদ্ধি পাবে।
  • বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন টিস্যু, ন্যাপকিন এবং অ্যালুমিনিয়াম হাউসহোল্ড পণ্যগুলির উপর ভাত বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এতেও এসব পণ্যগুলির দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিলাসবহুল গাড়ির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ২০০ শতাংশ থেকে ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০০১-৩০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির শুল্ক ২০০-২৫০ শতাংশ এবং ৩০০১ সিসি থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির শুল্ক ৩৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • খেজুর আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে এর ফলে খেজুরের দাম বৃদ্ধি পাবে।
  • আমদানি করা বিভিন্ন ধরণের ফল এবং বাদামের উপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে যা ফলমূল এবং বাদামের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • মাইক্রোওয়েভ ওভেনের আমদানিতে শুল্ক ৩০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • বাইক নির্মাণের ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের উপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে বিশেষ করে পরিবেশবান্ধব এই যানবাহনের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
  • সাইকেল তৈরির যন্ত্রাংশের উপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে যা সাইকেলের দাম বাড়াতে পারে।
  • চশমার ফ্রেম এবং সানগ্লাসের আমদানিতে শুল্ক ৫-২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাংলাদেশের বাজেটে কিছু পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাবগুলোর উদ্দেশ্য হচ্ছে স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করা, জনস্বার্থ রক্ষা করা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। নিচে এমন কিছু পণ্যের তালিকা এবং তাদের দাম কমানোর বিস্তারিত বিবরণ  দেওয়া হল,
  • গম আমদানির উপর বিদ্যমান শুল্ক কমিয়ে ১০% থেকে ৫% করা হয়েছে যা রুটি এবং অন্যান্য পণ্যগুলির দাম কমাতে সাহায্য করবে।
  • প্রক্রিয়াজাত দুধ এবং দুধের পণ্যের আমাদানির উপর শুল্ক কমান হয়েছে বিশেষ করে শিশুদের জন্য ব্যবহৃত  দুধের পণ্যের উপর শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে এতে শিশু খাদ্যের দাম কমতে সাহায্য করবে।
  • নির্দিষ্ট ধরণের ঔষধ এবং স্বাস্থ্য পণ্যের উপর শুল্ক এবং ভ্যাট কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বিশেষ করে জীবনরক্ষাকারী ঔষধ এবং সরঞ্জামের দাম কমে আসবে।
  • পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক গাড়ির উপরে শুল্ক এবং কর কমানো হয়েছে যা এই ধরণের গাড়ির মূল্য কমতে সাহায্য করবে। এই গাড়ির উপাদান যেমন ব্যাটারির উপর শুল্ক কমানো হয়েছে।
  • প্রযুক্তি খাতকে উন্নত করতে কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং এগুলোর যন্ত্রাংশের উপর ভ্যাট  ও শুল্ক কমানো হয়েছে যা এই পণ্যগুলির দাম কমবে এবং বিকাশে সাহায্য করবে।
  • কৃষির আধুনিকায়নের জন্য ট্র্যাক্টর এবং অন্যান্য কৃষি যন্ত্রপাতির উপর শুল্ক কমানো হয়েছে। এটি কৃষকের যন্ত্রপাতির দাম কমিয়ে আনবে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
  • ফসফেট এবং পটাস সারসহ নির্দিষ্ট ধরণের সারের উপর শুল্ক কমানো হয়েছে যা কৃষি উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনবে এবং সার ব্যবহারকে উৎসাহিত করবে।
  • মশার কয়েলের উপর শুল্ক এবং কর কমানো হয়েছে যা প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমিয়ে আনবে।
  • গৃহস্থালি ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরণের সাবান এবং ডিটারজেন্টের উপর শুল্ক এবং ভ্যাট কমানো হয়েছে।
  • শিক্ষার্থীদের জন্য বই এবং অন্যান্য ষ্টেশনারী পণ্যের উপর শুল্ক কমানো হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ব্যয় কমাতে সাহায্য করবে।

মূল্য বৃদ্ধির কারন

২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাংলাদেশের বাজেটে যেসবের দাম বাড়ছে সেসবের বাড়ার কারণগুলি হচ্ছে,
  • দেশের রাজস্ব বৃদ্ধি। 
  • স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা প্রদান।
  •  বৈদেশিক আমদানি নির্ভরতা হ্রাস। 

লেখকের মন্তব্য

বাংলাদেশে বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপেই দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাংলাদেশের বাজেটে যা বলা হয়েছে তা শুধু সরকারের আয় ব্যয়ের হিসাব নয় এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক পরিবর্তনের রূপরেখা। প্রতি বছর এটি দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url