ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ উপায়। গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম

ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ উপায় বর্তমান সময়ে ছেলেমেয়ে উভয়ের আগ্রহের মূল আকর্ষণ। প্রতিদিনের একঘেয়েমি চাকরি করে যখন সবাই ক্লান্ত তখন সবাই ঝুঁকছে ঘরে বসে ইনকাম করার দিকে। পিছিয়ে নেয় যুবতি থেকে মহিলারাও। আজকের আলোচনায় এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ উপায়। গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম

ঘরে বসে ইনকাম করার ক্ষেত্রে মহিলাদের সুযোগ অনেক বেশি। মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় এর পাশাপাশি অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় জানতে দ্রুত মূল আলোচনায় চলে জান।

ভূমিকা

ঘরে বসে ইনকাম করার ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের জন্য প্রথমে আপনার আগ্রহ ও দক্ষতার একটি ক্ষেত্র বেছে নিয়ে আপনি ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে পারেন। আজকে এ বিষয়ে এবং গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম কিভাবে করব সে বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে আজকের এই আলোচনায়। এছাড়াও মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় সম্বন্ধেও বলা হয়েছে যা মহিলাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে উৎসাহিত করবে।

আরও পড়ুনঃ



মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার উপায়

মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার অনেক সহজ এবং কার্যকর উপায় আছে। প্রযুক্তি উন্নতির সাথে সাথে ঘরে বসে কাজ করার সুযোগও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এখানে কিছু জনপ্রিয় এবং সহজ উপায় আলোচনা করা হল,

ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিলান্সিং হল ঘরে বসে কাজ করার অন্যতম জনপ্রিয় উপায়। এখানে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন যেমন,

লেখালেখিঃ ব্লগ লেখা, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, প্রুফরিডিং ইত্যাদি।

গ্রাফিক ডিজাইনঃ লোগো ডিজাইন, ব্যানার তৈরি, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিজাইন ইত্যাদি।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ ওয়েবসাইট তৈরি, মেইনটেনেন্স ইত্যাদি।

ডিজিটাল মার্কেটিংঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি।

ফ্রিলান্সিং প্ল্যাটফর্মঃ

  • Upwork
  • Freelancer
  • Fiverr

অনলাইন টিউটরিং

যদি আপনার পড়ানোর দক্ষতা থাকে তবে অনলাইন টিউটরিং হতে পারে একটি ভাল বিকল্প। বিভিন্ন বিষয়ে যেমন ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান বা সঙ্গীত শেখানোর জন্য আপনি অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর সাহায্য নিতে পারেন।

প্ল্যাটফর্মঃ

  • VIPKid
  • Chegg Tutors
  • Khan Academy

ব্লগিং

যদি আপনার লেখার প্রতি আগ্রহ থাকে তবে ব্লগিং একটি চমৎকার উপায় হতে পারে আয়ের। ব্লগ থেকে আয় করা যায় বিজ্ঞাপন, স্পন্সরশীপ এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে।

ব্লগিং প্ল্যাটফর্মঃ

  • WordPress
  • Blogger
  • Medium

ই-কমার্স

আপনার নিজের প্রোডাক্ট তৈরি করে অথবা ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে পারেন। এটি করতে কিছুটা প্রাথমিক বিনিয়োগ প্রয়োজন হতে পারে কিন্তু এটি একটি ভাল আয়ের উৎস হতে পারে।

প্ল্যাটফর্মঃ

  • Shopify
  • Etsy
  • Amazon

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যক্তির সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ম্যানেজ করার জন্য আপনি একটি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে পারেন। এতে পোস্ট তৈরি করা, কনটেন্ট ক্যালেন্ডার মেইনটেন করা এবং এনগেজমেন্ট ম্যানেজ করার মত কাজ অন্তর্ভুক্ত। 

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করলে আপনাকে বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ করতে হবে যেমন ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি, ক্যালেন্ডার ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।

প্ল্যাটফর্মঃ

  • Belay
  • Time Etc

ইউটিউব

যদি আপনার ভিডিও তৈরির প্রতি আগ্রহ থাকে তবে আপনি ইউটিউবে নিজের চ্যানেল খুলে বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। ভিডিওগুলি মনিটাইজ করে আপনি আয় করতে পারেন।

অনলাইন কোর্স তৈরি

আপনি যদি কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হন তবে আপনি অনলাইন কোর্স তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। এটি একবার তৈরি করলে বহুবার বিক্রি হতে পারে।

প্ল্যাটফর্মঃ

  • Udemy
  • Teachable
  • Coursera

ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে মাইক্রো টাস্ক

মাইক্রো টাস্কিং সাইটে ছোট ছোট কাজ করে আয় করতে পারেন যেমন ছবি ট্যাগিং, রিভিউ লেখা, ছোট জরিপ ইত্যাদি।

প্ল্যাটফর্মঃ
  • Amazon Mechanical Turk
  • Clickworker

হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস বিক্রি

যদি আপনি হস্তশিল্প বা ক্র্যাফটিং করেন তবে Etsy মতো প্ল্যাটফর্মে আপনি আপনার তৈরি পণ্য বিক্রি করতে পারেন। 

মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার ক্ষেত্রে পরামর্শ

কোন কাজ আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত তা নির্ধারণ করুন। প্রাথমিকভাবে ছোট থেকে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে আপনার ব্যবসাকে প্রসারিত করুন। ধৈর্য এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করলে সফলতা অর্জন সম্ভব।

ঘরে বসে ইনকাম গুগল এডসেন্স থেকে

গুগল অ্যাডসেন্স হল একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম যা আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আয় করার সুযোগ দেয়। এটি মূলত আপনার ডিজিটাল কনটেন্টে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আয়ের সুযোগ তৈরি করে। নিচে গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয় করার প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল,

আপনার কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুন

আপনি গুগোল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে আয় করতে হলে প্রথমে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। এটি হতে পারে,

  • আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লগ যেখানে আপনি নিয়মিত কনটেন্ট প্রকাশ করেন। 
  • আপনার ইউটিউব চ্যানেল যেখানে আপনি আপনার তৈরি করা ভিডিও প্রকাশ করতে পারেন।

কনটেন্ট তৈরি ও পপুলার করুন

গুগোল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করতে হলে আপনাকে অবশ্যই উচ্চ মানের কনটেন্ট তৈরি করতে হবে যা আপনার টার্গেট অডিয়েন্সকে আকৃষ্ট করবে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় লক্ষণীয়,

ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্যঃ আপনার কনটেন্ট ইনফর্মেটিভ, আকর্ষণীয় এবং অনুসন্ধানযোগ্য হতে হবে। SEO(Search Engine Optimization) কৌশল ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ান।

ইউটিউব চ্যানেলের জন্যঃ নিয়মিত এবং মানসম্পন্ন ভিডিও আপলোড করুন যা দর্শকদের আকর্ষণ করবে এবং সাবস্ক্রাইবার বাড়াবে। 

গুগোল অ্যাডসেন্সে সাইন আপ করুন

আপনার প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত হওয়ার পর গুগোল অ্যাডসেন্সে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। প্রক্রিয়াঃ

  • গুগোল অ্যাডসেন্স ওয়েবসাইটে যান।
  • "Get Start" বাটনে ক্লিক করুন।
  • আপনার গুগোল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সাইন ইন করুন।
  • আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলের URL প্রদান করুন।
  • আপনার ঠিকানা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করুন।

অ্যাডসেন্স অনুমোদন পেতে অপেক্ষা 

গুগোল আপনার অ্যাপ্লিকেশন পর্যালোচনা করবে এবং এটি আপনার প্ল্যাটফর্মের মান, ট্রাফিক এবং নীতিমালার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তা নির্ধারণ করবে। এটি সাধারণত কয়েকদিন থেকে কয়েক সপ্তাহ সময় নিতে পারে। 

বিজ্ঞাপন সেটআপ করুন

আপনার অ্যাকাউন্ট অনুমোদিত হলে  আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন যুক্ত করতে পারেন।

ওয়েবসাইটের জন্যঃ গুগোল অ্যাডসেন্স থেকে বিজ্ঞাপন কোড জেনারেট করুন এবং এটি আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন স্থানে যোগ করুন যেমন সাইডবার, হেডার বা কনটেন্টের মধ্যে।

ইউটিউব চ্যানেলের জন্যঃ আপানার চ্যানেলটির মনিটাইজেশন চালু করুন এবং গুগোল অ্যাডসেন্সের সাথে সংযুক্ত করুন। ইউটিউব আপনার ভিডিওগুলিতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে।

ট্র্যাফিক বৃদ্ধি করুন

বিজ্ঞাপন থেকে আয় বাড়ানোর জন্য আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে পর্যাপ্ত ট্র্যাফিক আনতে হবে। যেমন,

SEO অপটিমাইজেশনঃ সার্চ ইঞ্জিনে আপনার কনটেন্টের ভিজিবিটি বাড়াতে কিওয়ার্ড রিসার্চ এবং অপটিমাইজেশন করুন। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ আপনার কনটেন্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন এবং দর্শকদের আকৃষ্ট করুন।

নিয়মিত কন্টেন্ট আপডেটঃ নিয়মিত নতুন এবং মানসম্মত কনটেন্ট প্রকাশ করুন। 

আয় পর্যবেক্ষণ এবং অপটিমাইজ করুন

আপনার গুগোল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে আপনার আয়ের রিপোর্ট এবং বিজ্ঞাপন কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করুন। বিজ্ঞাপনের অবস্থান এবং ধরনগুলি পরীক্ষা করুন যাতে আপনি সর্বাধিক আয় করতে পারেন।

গুরুত্বপূর্ণ টিপস

গুণমাণ কনটেন্ট তৈরি করুনঃ আপনার কন্টেন্ট যদি মূল্যবান এবং আকর্ষণীয় হয় তবে দর্শকরা আপনার সাইটে বেশি সময় ব্যয় করবে এবং ক্লিক করবে।

গুগোল অ্যাডসেন্স নীতিমালা মেনে চলুনঃ গুগোল অ্যাডসেন্সের নীতিমালা ভঙ্গ করলে আপনার অ্যাকাউন্ট বাতিল হতে পারে।

ধৈর্য ধরুনঃ গুগোল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর জন্য  সময় এবং প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে আপনি গুগোল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন।

অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ উপায়

ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ উপায় অনেক ধরণের  হতে পারে তার মধ্যে ১০টি উপায় উপরে আলোচনা করা হয়েছে। উপরোক্ত উপায় ছাড়াও আরও কিছু উপায় আছে যা দিয়ে আপনি ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারবেন। নিচে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হল,

অনলাইন স্টক ট্রেডিং এবং বিনিয়োগ

অনলাইন স্টক ট্রেডিং এবং বিনিয়োগ একটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু লাভজনক উপায় হতে পারে অর্থ উপার্জনের জন্য। এখানে আপনি শেয়ার বাজারে শেয়ার কেনাবেচা বা বিভিন্ন আর্থিক ইনস্ট্রুমেন্টে বিনিয়োগ করেন।

কাজের ধরণ

  • স্টক ট্রেডিংঃ দৈনিক বা স্বল্পমেয়াদী ভিত্তিতে শেয়ার কেনা এবং বেচা।
  • ডিভিডেন্ড ইনভেস্টিংঃ দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে শেয়ার কিনে রাখা এবং ডিভিডেন্ড থেকে আয় করা।
  • ফরেক্স ট্রেডিংঃ বিভিন্ন মুদ্রার এক্সচেঞ্জ রেটের ওঠানামা থেকে লাভ করা। 
  • ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিংঃ বিটকয়েন, ইথেরিয়াম ইত্যাদি ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা এবং বিক্রি করা।

 কিভাবে শুরু করবেন

  • শিক্ষা গ্রহণঃ শেয়ার বাজার এবং বিভিন্ন ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে জানুন। 
  • ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট খোলাঃ একটি নির্ভরযোগ্য অনলাইন ব্রোকারেজ ( যেমন Robinhood, E*TRADE, TD Ameritrade) এর সাথে অ্যাকাউন্ট খুলুন।
  • পোর্টফলিও তৈরিঃ আপনার বাজেট এবং ঝুঁকি ক্ষমতা অনুযায়ী একটি পোর্টফলিও তৈরি করুন।
  • ট্রেডিং পরিকল্পনাঃ সঠিক সময়ে শেয়ার কেনা-বেচা করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন।

পডকাস্টিং 

পডকাস্টিং হল একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি অডিও কনটেন্ট তৈরি করে শ্রোতাদের সঙ্গে শেয়ার করেন। এটি সাধারণত নির্দিষ্ট একটি বিষয় বা আলোচনার উপর ভিত্তি করে হয় এবং নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা হয়।

কাজের ধরণ

  • শিক্ষামূলক পডকাস্টঃ শিক্ষামূলক বিষয়বস্তু যেমন ইতিহাস, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ইত্যাদি।
  • ইন্টারভিউ পডকাস্টঃ বিভিন্ন ব্যক্তি বা বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকার।
  • গল্প বলার পডকাস্টঃ কাহিনী, রোমাঞ্চকর গল্প বা ধারাবাহিক গল্প বলা। 

কিভাবে শুরু করবেন

  • টপিক নির্বাচনঃ আপনার পডকাস্টের জন্য একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা টপিক নির্বাচন করুন।
  • অডিও সরঞ্জামঃ একটি ভাল মাইক্রোফোন এবং অডিও এডিটিং সফটওয়্যার কিনুন বা ব্যবহার করুন।
  • প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারঃ পডকাস্ট হোস্টিং প্ল্যাটফর্ম(যেমন Anchor, Podbean) ব্যবহার করে আপনার পডকাস্ট প্রকাশ করুন।
  • মোনিটাইজেশনঃ স্পন্সরশীপ, ডোনেশন বা সাবস্ক্রিপশন মডেল ব্যবহার করে আয় শুরু করুন।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারেন এবং সেগুলো বিক্রি করতে পারেন বা ক্লায়েন্টদের জন্য সেবা প্রদান করতে পারেন।

কাজের ধরণ

  • ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপমেন্টঃ ওয়েবসাইটের ভিজ্যুয়াল এবং ইন্টারেক্টিভ এলিমেন্টগুলি তৈরি করা।
  • ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্টঃ ওয়েবসাইটের সার্ভার সাইট এবং ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট।
  • মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টঃ অ্যানড্রয়েড বা আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য অ্যাপ তৈরি করা।
  • ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্টঃ ফ্রন্ট-এন্ড এবং ব্যাক-এন্ড উভয়ের সমন্বয়।
কিভাবে শুরু করবেন
  • প্রোগ্রামিং শেখাঃ HTML, CSS, JavaScript, Python বা Java এর মত প্রোগ্রামিং ভাষাগুলি শেখা।
  • ফ্রেমওয়ার্ক এবং টুলসঃ React, Angular, Node.js, Django এর মত ফ্রেমওয়ার্ক এবং টুলস ব্যবহার করা।
  • প্রকল্প তৈরিঃ কিছু ব্যক্তিগত প্রকল্প তৈরি করে প্র্যাকটিস করা এবং পোর্টফোলিও তৈরি করা।
  • ক্লায়েন্ট সার্ভিসঃ ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম বা সরাসরি ক্লায়েন্টেদের সাথে কাজ শুরু করা।  

গ্রাফিক ডিজাইনঃ

গ্রাফিক ডিজাইন এমন একটি সৃজনশীল প্রক্রিয়া যেখানে আপনি ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি করেন যা লোগো, ব্যানার, পোস্টার এবং অন্যান্য ডিজিটাল বা প্রিন্টেড মিডিয়া হতে পারে।

কাজের ধরণ

  • লোগো ডিজাইনঃ কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের জন্য লোগো তৈরি করা।
  • মার্কেটিং মেটেরিয়ালঃ ব্যানার, পোস্টার, সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক ইত্যাদি তৈরি করা।
  • ইলাস্ট্রেশন এবং আটওয়ার্কঃ ডিজিটাল ইলাস্ট্রেশন এবং আটওয়ার্ক এবং আর্টওয়ার্ক তৈরি করা।
  • ইউএক্স/ইউআই ডিজাইনঃ ওয়েবসাইট বা অ্যাপলিকেশনের জন্য ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতা এবং ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন করা।
 কিভাবে শুরু করবেন
  • ডিজাইন টুল শেখাঃ Adobe Photoshop, Illustrator, Canva বা Figma এর মত ডিজাইন টুলগুলি শেখা।
  • অনুপ্রেরণা এবং ধারণাঃ Behance, Dribbble এর মত প্ল্যাটফর্ম থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া।
  • পোর্টফোলিও তৈরিঃ আপনার কাজের উদাহরণসহ একটি পোর্টফলিও তৈরি করা।
  • ক্লায়েন্ট বা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারঃ ফ্রিলান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ করা বা সরাসরি ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করা। 

ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি

ডিজিটাল প্রোডাক্ট হল এমন পণ্য যা আপনি অনলাইনে তৈরি করতে পারেন এবং বারে বারে বিক্রি করতে পারেন। এর জন্য কোনও ইনভেন্টরি বা শিপিং প্রয়োজন হয় না।

কাজের ধরণ

    • ইবুকঃ যেকোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে ইলেক্ট্রনিক বই লিখে বিক্রি করা।
    • অনলাইন কোর্সঃ যেকোনো বিষয়ে শিক্ষামূলক কোর্স তৈরি করে বিক্রি করা।
    • ডিজিটাল টেমপ্লেটঃ ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বা প্রেজেন্টেশনের জন্য টেমপ্লেট তৈরি করা।
    • স্টক ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওঃ উচ্চ মানের ফটো এবং ভিডিওগুলি বিক্রি করা।

     কিভাবে শুরু করবেন

    • প্ল্যাটফর্ম নির্বাচনঃ Etsy, Gumroad, Teachable এর মত প্ল্যাটফর্মে আপনার ডিজিটাল প্রোডাক্টগুলি বিক্রি করা।
    • প্রোডাক্ট তৈরিঃ আপনি যে বিষয়ে দক্ষ তা নিয়ে প্রোডাক্ট তৈরি করা।
    • প্রমোশন এবং মার্কেটিংঃ সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং এবং ব্লগের মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টগুলি প্রচার করা।

    ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

    ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ব্যবসা বা উদ্যোক্তাদের প্রশাসনিক, টেকনিক্যাল বা ক্রিয়েটিভ কাজগুলতে সহায়তা করতে পারেন।

    কাজের ধরণ

    • ইমেইল ম্যানেজমেন্টঃ ইমেইল ম্যানেজ করা এবং গুরুত্বপূর্ণ মেইলগুলির উত্তর দেওয়া।
    • ক্যালেন্ডার ম্যানেজমেন্টঃ মিটিং এবং অ্যাপয়েনমেন্টগুলি পরিচালনা করা।
    • ডেটা এন্ট্রিঃ বিভিন্ন ডাটাবেসে তথ্য এন্ট্রি করা।
    • কনটেন্ট ক্রিয়েশনঃ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বা ব্লগ কনটেন্ট তৈরি করা।

    লেখকের মন্তব্য

    ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ উপায় আমাদের জানা থাকলে আমাদের মধ্যে অনেকেরই কর্মসংস্থান হবে দেশে বেকারত্ব দূর হবে। নতুন দক্ষতা শিখতে ও নিজেকে আপডেট রাখতে বিনিয়োগ করুন তাই চাকরির আশায় বসে না থেকে উপরোক্ত উপায়গুলোর যেটা আপনার পছন্দ সেটা নিয়ে কাজ শুরু করে দেন দেখবেন ইনস সা আল্লাহ সফলতা আসবেই। 

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url