বান্দরবানের ১৩টি দর্শনীয় স্থান সমূহ এবং বান্দরবান হোটেল ভাড়া
পাহাড় প্রেমিকদের প্রথম পছন্দের জায়গা বান্দরবান কিন্তু বান্দরবানে দুই তিন দিনে ঘুরে দেখার জন্য কোন জায়গায় যাব সেইটা নিয়ে আজকের আলোচ্য বিষয় বান্দরবানের ১৩টি দর্শনীয় স্থান সমূহ এবং বান্দরবান হোটেল ভাড়া। এ বিষয়ে জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি বান্দরবান ঘুরার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে বান্দরবানের ১৩টি দর্শনীয় স্থান সমূহ এবং বান্দরবান হোটেল ভাড়া সম্পর্কে জানতে দ্রুত মুল আলোচনায় চলে যান।
ভূমিকা
বান্দরবান জেলা
বান্দরবান জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চট্টগ্রাম বিভাগের একটি পার্বত্য জেলা। এটি বাংলাদেশ-ভারত ও বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তবর্তী। বান্দরবান জেলা পর্যটন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নানাবিধ নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত।
ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন
- অবস্থান: 21.11°N থেকে 22.21°N অক্ষাংশ এবং 92.25°E থেকে 92.55°E দ্রাঘিমাংশের মধ্যে।
- আয়তন: প্রায় ৪৪৭৯.০১ বর্গ কিলোমিটার।
জনসংখ্যা
- মোট জনসংখ্যা: আনুমানিক ৩৮৮,৩৩৫ জন (২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)।
- নৃগোষ্ঠী: প্রধানত মারমা, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, বম, খুমি, মুরং এবং ত্রিপুরা।
প্রশাসনিক বিভাগ
- উপজেলা: ৭টি (বান্দরবান সদর, রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি, লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি)।
- ইউনিয়ন: ৩৩টি।
- গ্রাম: প্রায় ১ হাজার ৮১টি।
পর্যটন কেন্দ্র
বান্দরবানে অনেক সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে, যেমন:
- নীলগিরি: এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যটন কেন্দ্র।
- বগালেক: পাহাড়ের উপরে অবস্থিত একটি সুন্দর হ্রদ।
- মারায়ং তং: এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া।
- থানচি: একটি অন্যতম সুন্দর ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এলাকা।
- সাঙ্গু নদী: বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী।
এছাড়াও বান্দরবানের ১৩টি দর্শনীয় স্থান সমূহ নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
অন্যান্য তথ্য
- প্রধান ভাষা: বাংলা, মারমা, চাকমা।
- অর্থনীতি: কৃষি প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম, তবে পর্যটনও একটি বড় আয়ের উৎস।
- সংস্কৃতি: বান্দরবানের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতি, উৎসব ও পোশাক রয়েছে যা স্থানীয় সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে।
বান্দরবান জেলা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং পর্যটনকেন্দ্রের জন্য পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
বান্দরবান জেলা পরিষদ
কার্যাবলী
- উন্নয়ন প্রকল্প: স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়ন, যেমন সড়ক, সেতু, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইত্যাদি নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ।
- সামাজিক সেবা: স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা এবং দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রম পরিচালনা।
- পরিবেশ সংরক্ষণ: বন, নদী এবং পরিবেশের সংরক্ষণ ও সুরক্ষা।
- সংস্কৃতি ও ক্রীড়া: স্থানীয় সংস্কৃতি ও ক্রীড়া কার্যক্রমের উন্নয়ন ও প্রসার।
- আইনশৃঙ্খলা রক্ষা: স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
সংগঠন
- চেয়ারম্যান: বান্দরবান জেলা পরিষদের প্রধান, যিনি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হন।
- সদস্য: বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নির্বাচিত সদস্যরা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনায় অংশ নেন।
- প্রশাসনিক কর্মকর্তা: জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
গুরুত্ব
- স্থানীয় উন্নয়ন: বান্দরবান জেলা পরিষদ স্থানীয় জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করে, যা জেলার সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- জনগণের অংশগ্রহণ: জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে জেলা পরিষদ বিভিন্ন সভা, সেমিনার এবং কর্মশালা আয়োজন করে।
- সেবা প্রদান: স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সেবা প্রদান করে, যা জনগণের জীবনমান উন্নত করে।
বিশেষ দিক
- প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: বান্দরবান একটি পর্যটন জেলা হিসেবে পরিচিত, যা দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন স্থান।
- বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠী: এই জেলায় বিভিন্ন উপজাতি জনগোষ্ঠীর বসবাস, যারা নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বজায় রেখে চলেছে।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবান জেলার একটি প্রশাসনিক সংস্থা। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যা বান্দরবান জেলার উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের স্থানীয় জনগণের উন্নয়ন ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার জন্য। এই পরিষদ এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগ, সংস্কৃতি এবং অন্যান্য সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ স্থানীয় জনগণের জীবনের মান উন্নয়ন এবং স্থায়ী উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণেও এই পরিষদ সক্রিয়ভাবে কাজ করে থাকে।
বান্দরবান সরকারি কলেজ
বান্দরবানের ১৩টি দর্শনীয় স্থান সমূহ
বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে পর্যটকদের জন্য নানা আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে। চলুন "বান্দরবানের ১৩টি দর্শনীয় স্থান সমূহ" সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানি।
নীলগিরি
নীলগিরি বান্দরবানের সর্বোচ্চ পর্যটন কেন্দ্র। এটি প্রায় ৩,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এখান থেকে আপনি মেঘ আর পাহাড়ের অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। সকালে এবং সন্ধ্যায় নীলগিরি এক বিশেষ আবহ তৈরি করে যা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
বগা লেক
বান্দরবানের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রাকৃতিক লেকগুলোর মধ্যে একটি হলো বগা লেক। এটি প্রায় ২,৪০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এবং এর পানি সবুজাভ নীল। এই লেকের আশেপাশে পাহাড় ও জঙ্গলের সৌন্দর্য আপনার মন কাড়বে।
নীলাম্বরি
নীলগিরির কাছেই অবস্থিত নীলাম্বরি। এটি পর্যটকদের জন্য আরেকটি আকর্ষণীয় স্থান যেখানে আপনি প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। নীলাম্বরির প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
মেঘলা
মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৪ কিমি দূরে অবস্থিত। এখানে রয়েছে ঝুলন্ত সেতু, লেক, পাহাড় এবং বোটিং সুবিধা। এটি পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য আদর্শ স্থান।
শৈলপ্রপাত
শৈলপ্রপাত একটি সুন্দর জলপ্রপাত যা বান্দরবানের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঠাণ্ডা পানি পর্যটকদের জন্য একটি প্রশান্তি নিয়ে আসে।
থানচি
থানচি বান্দরবানের একটি অপূর্ব স্থান যা সাঙ্গু নদীর তীরে অবস্থিত। এখানে নৌকায় ভ্রমণ করে সাঙ্গু নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। থানচির পাহাড়ি পরিবেশ এবং নদীর দৃশ্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
রুমা বাজার
রুমা বাজার একটি স্থানীয় বাজার যেখানে বিভিন্ন উপজাতির মানুষদের দৈনন্দিন জীবনধারা দেখা যায়। এখানে আপনি স্থানীয় হস্তশিল্প এবং খাবার উপভোগ করতে পারেন।
প্রান্তিক ঝরনা
প্রান্তিক ঝরনা একটি মনোমুগ্ধকর ঝরনা যা বান্দরবানের অন্যতম সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য। এখানে আপনি ঝরনার ঠাণ্ডা পানিতে স্নান করতে পারেন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
সাঙ্গু নদী
সাঙ্গু নদী বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর নদী। এটি বান্দরবানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং নদীর তীরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়। এখানে নৌকায় ভ্রমণ পর্যটকদের জন্য একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
বৌদ্ধ মন্দির
বান্দরবানে বেশ কিছু ঐতিহাসিক বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরগুলি ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। মন্দিরগুলির স্থাপত্য এবং পরিবেশ পর্যটকদের মন কাড়ে।
গোল্ডেন টেম্পল
গোল্ডেন টেম্পল বা বুদ্ধ ধাতু জাদি বান্দরবানের একটি বিখ্যাত বৌদ্ধ মন্দির। এটি সোনালী স্থাপত্যের জন্য পরিচিত এবং এখানে প্রতিদিন অনেক পর্যটক ভ্রমণ করে।
চিম্বুক পাহাড়
চিম্বুক পাহাড় বান্দরবানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাহাড়। এটি প্রায় ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এবং এখান থেকে আপনি চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
ম্রো সম্প্রদায়
বান্দরবানের ম্রো সম্প্রদায় একটি ঐতিহ্যবাহী উপজাতি সম্প্রদায়। তাদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং জীবনধারা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
বান্দরবানের ১৩টি দর্শনীয় স্থান সমূহ স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকদের জন্য অপূর্ব অভিজ্ঞতা প্রদান করে। প্রতিটি স্থানেই রয়েছে নান্দনিক প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যা এই এলাকাকে অন্য সকল পর্যটন গন্তব্য থেকে আলাদা করে তোলে। সুতরাং, "বান্দরবানের ১৩টি দর্শনীয় স্থান সমূহ" দেখার মাধ্যমে আপনি প্রকৃতি ও সংস্কৃতির এক অপূর্ব মিলন উপভোগ করতে পারবেন।
বান্দরবান হোটেল ভাড়া
হিল ভিউ রিসোর্ট
- অবস্থান: মেঘলা, বান্দরবান।
- ভাড়া: ২০০০-৫০০০ টাকা প্রতি রাত।
- সুবিধা: সুইমিং পুল, রেস্টুরেন্ট, ওয়াইফাই।
মেঘলা রিসোর্ট
- অবস্থান: মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের নিকটে।
- ভাড়া: ১৫০০-৪০০০ টাকা প্রতি রাত।
- সুবিধা: পার্কিং, রেস্টুরেন্ট, বারবিকিউ।
নিলগিরি রিসোর্ট
- অবস্থান: নিলগিরি পর্যটন কেন্দ্রের কাছাকাছি।
- ভাড়া: ৩০০০-৭০০০ টাকা প্রতি রাত।
- সুবিধা: পাহাড়ের চূড়ার দৃশ্য, রুম সার্ভিস, ট্যুর গাইড।
থ্রি স্টার হোটেল
- অবস্থান: বান্দরবান শহরের কেন্দ্র।
- ভাড়া: ১০০০-৩০০০ টাকা প্রতি রাত।
- সুবিধা: রেস্টুরেন্ট, ফ্রি ওয়াইফাই, পার্কিং।
পার্বত্য হোটেল
- অবস্থান: চিম্বুক সড়ক, বান্দরবান।
- ভাড়া: ২৫০০-৬০০০ টাকা প্রতি রাত।
- সুবিধা: সুইমিং পুল, ফিটনেস সেন্টার, স্পা।
বান্দরবান ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স
- অবস্থান: বান্দরবান সদর।
- ভাড়া: ১৫০০-৩৫০০ টাকা প্রতি রাত।
- সুবিধা: রেস্টুরেন্ট, কনফারেন্স হল, ওয়াইফাই।
রুমা ভ্যালি রিসোর্ট
- অবস্থান: রুমা, বান্দরবান।
- ভাড়া: ২০০০-৪৫০০ টাকা প্রতি রাত।
- সুবিধা: নৌকা ভ্রমণ, ক্যাম্পিং সুবিধা, বারবিকিউ।
লেখকের মন্তব্য
বান্দরবান বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর স্থান, যেখানে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। নীলগিরি পাহাড় থেকে সূর্যোদয়ের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, বগালেকের স্বচ্ছ জলরাশি ও মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে। তাছাড়া, নাফাখুম ঝর্ণা ও চিম্বুক পাহাড়ের অপূর্ব দৃশ্য পরিবেশের সৌন্দর্যকে আরো বৃদ্ধি করে।
এখানকার স্থানীয় আদিবাসী সংস্কৃতি ও জীবনধারাও একটি বিশেষ আকর্ষণ। সব মিলিয়ে, বান্দরবান প্রকৃতি ও সংস্কৃতির এক অপূর্ব মেলবন্ধন। আজকের পোস্টটি আপনাদের ভাল লেগে থাকলে পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করে পাশে থাকুন, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url