ওয়ার্ডপ্রেস শিখে যেভাবে অনলাইনে আয় করবেন-১২ টি উপায়
অনলাইনে ইনকামের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস। আজকের আলোচনায় এই ওয়ার্ডপ্রেস শিখে যেভাবে অনলাইনে আয় করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ঘরে বসে অনালাইনে ইনকাম করা উপায় খুঁজছেন? চলুন এই রকম একটি কার্যকরী উপায় যেমন ওয়ার্ডপ্রেস শিখে যেভাবে অনলাইনে আয় করবেন শীর্ষক পোস্টটি পড়তে দ্রুত মূল আলোচনায় চলে যান।
ভূমিকা
ওয়ার্ডপ্রেস কি
ওয়ার্ডপ্রেস হলো একটি ওপেন সোর্স কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS), যা মূলত ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত। এটি PHP প্রোগ্রামিং ভাষায় তৈরি এবং MySQL বা MariaDB ডাটাবেস ব্যবহার করে। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট, ব্লগ, ই-কমার্স সাইট এবং আরও অনেক ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। এর সহজ ব্যবহারযোগ্যতা এবং বিভিন্ন ফিচার যেমন থিম, প্লাগইন ইত্যাদির জন্য এটি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়।
ওয়ার্ডপ্রেসের বৈশিষ্ট্য
সহজ ইনস্টলেশন ও সেটআপ: এটি ইনস্টল করা সহজ এবং কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সাধারণ ধারণা থাকলেই যে কেউ এটি ব্যবহার শুরু করতে পারে।
প্লাগইন ও থিম: অসংখ্য ফ্রি এবং পেইড প্লাগইন ও থিম রয়েছে, যা ব্যবহার করে আপনি আপনার সাইটের কার্যকারিতা এবং ডিজাইন বাড়াতে পারবেন।
SEO ফ্রেন্ডলি: ওয়ার্ডপ্রেস SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) এর জন্য খুবই কার্যকরী। SEO প্লাগইন ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য ভালভাবে অপ্টিমাইজ করতে পারেন।
রেসপন্সিভ ডিজাইন: ওয়ার্ডপ্রেস থিমগুলো সাধারণত মোবাইল এবং ট্যাবলেটের জন্য রেসপন্সিভ হয়, যার ফলে যে কোনো ডিভাইসে আপনার সাইটটি সঠিকভাবে দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ
ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ উপায়। গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম।
একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার ১২টি কার্যকরী উপায়।
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
ধাপ ১: ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয়
ধাপ ২: ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টলেশন
ধাপ ৩: থিম নির্বাচন
ধাপ ৪: প্লাগইন ইনস্টলেশন
ধাপ ৫: কাস্টমাইজেশন এবং কন্টেন্ট তৈরি
ধাপ ৬: ওয়েবসাইট পাবলিশ এবং রেগুলার আপডেট
ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন সময় লাগে
ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন সময় লাগে তা মূলত শেখার উদ্দেশ্য, আগের জ্ঞান এবং শেখার উপায়ের উপর নির্ভর করে।
মূল পর্যায় (বেসিক শেখা)
সময়কাল: ১-২ সপ্তাহ
এই পর্যায়ে, আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা, থিম সেটআপ করা এবং কিছু বেসিক প্লাগইন ব্যবহার করতে শিখবেন। যারা ওয়েবসাইট তৈরি নিয়ে নতুন, তারা সাধারণত এই পর্যায়ে একটু বেশি সময় নিতে পারেন। কিন্তু যদি আপনার ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে কিছু পূর্বজ্ঞান থাকে, তাহলে এটি দ্রুত শিখে নেওয়া সম্ভব।
মাঝারি পর্যায় (ইন্টারমিডিয়েট লেভেল)
সময়কাল: ১-৩ মাস
এই পর্যায়ে, আপনি কাস্টমাইজেশন, এডভান্সড প্লাগইন ব্যবহার এবং সাইট অপটিমাইজেশনের কাজ শিখবেন। আপনি কাস্টম থিম তৈরি করতে এবং কিছু কোডিং যেমন HTML, CSS এবং সামান্য PHP শিখতে শুরু করবেন।
উন্নত পর্যায় (অ্যাডভান্সড লেভেল)
সময়কাল: ৬ মাস থেকে ১ বছর
এই পর্যায়ে, ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্টে আরও গভীরে প্রবেশ করা হয়। আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য কাস্টম প্লাগইন তৈরি করা, থিম ডেভেলপমেন্ট, এবং বড় স্কেলের সাইট ম্যানেজমেন্ট শিখতে পারেন। এই পর্যায়ে প্রোগ্রামিং জ্ঞান বিশেষত PHP, JavaScript এবং MySQL সম্পর্কে গভীর ধারণা থাকতে হবে।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখে যেভাবে অনলাইনে আয় করবেন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে, সাধারণত আপনাকে উন্নত পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে যেখানে আপনি ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে পারেন, ব্লগিং করতে পারেন বা ক্লায়েন্টের জন্য ফ্রিল্যান্স সেবা দিতে পারেন।
তাহলে, মোটের উপর ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে আপনার ১ সপ্তাহ থেকে ১ বছর সময় লাগতে পারে, এটি আপনার শেখার গতির উপর নির্ভর করে।
ওয়ার্ডপ্রেস কেন শেখা উচিত
ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে ইনকামের উপায়
ওয়ার্ডপ্রেস শিখে যেভাবে অনলাইনে আয় করবেন, তার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে। ওয়ার্ডপ্রেস একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) যা ব্যবহার করে আপনি অনলাইনে আয় করতে পারেন। নিচে ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে আয়ের ১২টি উপায় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো,
ব্লগিং করে আয়
ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগিং শুরু করা খুবই সহজ। আপনার নিজের ব্লগ তৈরি করে নিয়মিত মানসম্পন্ন কনটেন্ট পোস্ট করলে গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এছাড়া অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশিপ এবং প্রোডাক্ট রিভিউ থেকেও আয় করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট
আপনার ডিজাইনিং এবং কোডিং দক্ষতা থাকলে, ওয়ার্ডপ্রেস থিম তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন। অনেক ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস এবং ওয়ার্ডপ্রেস থিম মার্কেটপ্লেস (যেমন থিমফরেস্ট) রয়েছে যেখানে থিম বিক্রি করা যায়।
ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন ডেভেলপমেন্ট
ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন তৈরি করে বিক্রি করা আরেকটি আয়ের উপায়। প্লাগইন ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান দিতে পারেন এবং তা বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস সাইট সেটআপ সার্ভিস
অনেকে ওয়ার্ডপ্রেস সাইট সেটআপ করতে চান, কিন্তু জানেন না কিভাবে করতে হয়। আপনি তাদের জন্য সাইট সেটআপ সার্ভিস দিতে পারেন এবং এজন্য অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস কোচিং ও ট্রেনিং
যারা ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে চান, তাদের জন্য অনলাইন কোর্স, ওয়েবিনার বা ব্যক্তিগত কোচিং প্রদান করে আয় করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস সাইট মেইনটেনেন্স সার্ভিস
ওয়ার্ডপ্রেস সাইটগুলির নিয়মিত মেইনটেনেন্স প্রয়োজন। আপনি সাইটগুলির নিরাপত্তা, আপডেট, এবং ব্যাকআপ সার্ভিস প্রদান করে আয় করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস ই-কমার্স সাইট ডেভেলপমেন্ট
ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে WooCommerce এর মাধ্যমে ই-কমার্স সাইট তৈরি করে দিতে পারেন। এই ধরনের সাইট ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট থেকে পেমেন্ট পেতে পারেন।
কাস্টম ওয়ার্ডপ্রেস সাইট ডেভেলপমেন্ট
কাস্টম ডিজাইন এবং ফিচার সহ ওয়ার্ডপ্রেস সাইট ডেভেলপমেন্টের জন্য বিভিন্ন কোম্পানি এবং ব্যক্তিগত উদ্যোক্তারা উচ্চমূল্য প্রদান করে থাকে।
ওয়ার্ডপ্রেস সাইট অপটিমাইজেশন সার্ভিস
ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের লোডিং স্পিড, এসইও, এবং নিরাপত্তা অপটিমাইজেশন করে আয় করতে পারেন। বিশেষ করে যেসব সাইটের পারফরম্যান্স কম, তাদের জন্য এই সার্ভিসের চাহিদা অনেক।
কনটেন্ট রাইটিং ও কপি রাইটিং
ওয়ার্ডপ্রেস সাইটগুলির জন্য কনটেন্ট রাইটিং, কপি রাইটিং এবং ব্লগ পোস্ট লিখে আয় করতে পারেন। বিশেষত যারা কনটেন্ট রাইটিংয়ে দক্ষ, তারা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এই কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস সাইট মাইগ্রেশন সার্ভিস
ওয়ার্ডপ্রেস সাইট এক সার্ভার থেকে অন্য সার্ভারে মাইগ্রেশন করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। এই ধরনের কাজের জন্য অনেকেই সার্ভিস প্রদানকারীদের খোঁজ করে। আপনি এই সার্ভিস প্রদান করে আয় করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস সাইট বাগ ফিক্সিং
ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে বিভিন্ন সময়ে বাগ বা সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি বাগ ফিক্সিং সার্ভিস প্রদান করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখে এই উপায়গুলো ব্যবহার করে আপনি সহজেই অনলাইনে আয় করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট মেইন্টেনেন্স সার্ভিস সেল করে কিভাবে
সার্ভিসের পরিধি নির্ধারণ
- ওয়ার্ডপ্রেস কোর, থিম এবং প্লাগইন আপডেট: সাইটের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা বজায় রাখতে নিয়মিত আপডেট করা।
- ব্যাকআপ ম্যানেজমেন্ট: সাইটের নিয়মিত ব্যাকআপ নিয়ে রাখা যাতে কোনো সমস্যা হলে সাইট সহজেই পুনরুদ্ধার করা যায়।
- নিরাপত্তা মনিটরিং: সাইটে ম্যালওয়্যার স্ক্যান, ফায়ারওয়াল সেটআপ, এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বিষয়ক কাজ করা।
- পারফরম্যান্স অপটিমাইজেশন: সাইটের লোডিং স্পিড বৃদ্ধি এবং সাইটের কার্যকারিতা উন্নত করা।
- বাগ ফিক্সিং এবং সমস্যা সমাধান: সাইটে কোনো বাগ বা সমস্যা থাকলে তা দ্রুত সমাধান করা।
মেইনটেনেন্স প্যাকেজ তৈরি করা
- বেসিক প্যাকেজ: শুধুমাত্র নিয়মিত আপডেট এবং ব্যাকআপ।
- স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ: আপডেট, ব্যাকআপ এবং নিরাপত্তা মনিটরিং।
- প্রিমিয়াম প্যাকেজ: পূর্ণাঙ্গ মেইনটেনেন্স সার্ভিস, যার মধ্যে বাগ ফিক্সিং, পারফরম্যান্স অপটিমাইজেশন এবং কাস্টমাইজড সার্ভিস অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করুন
ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করুন
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে সার্ভিস অফার করুন
সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক সেবা প্রদান করুন
কাস্টমাইজড সার্ভিস প্রদান
রিপোর্টিং এবং কমিউনিকেশন
ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে মার্কেটিং এন্ড এসইও সার্ভিসেস
ওয়ার্ডপ্রেস একটি জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) যা সাইট তৈরি এবং পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি শুধুমাত্র ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নয়, বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি এবং পরিচালনার জন্যও ব্যবহৃত হয়।
ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে মার্কেটিং ও এসইও (SEO) কার্যক্রম সহজে পরিচালনা করা যায়। নিচে ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে মার্কেটিং ও এসইও সার্ভিসেস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
ওয়ার্ডপ্রেস মার্কেটিং সার্ভিসেস
- কনটেন্ট মার্কেটিংঃ ওয়ার্ডপ্রেসে কনটেন্ট তৈরি ও প্রকাশ করা সহজ এবং দ্রুত। এটি কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। এখানে ব্লগ পোস্ট, ইনফোগ্রাফিক, ভিডিও এবং অন্যান্য কনটেন্টের মাধ্যমে লক্ষ্য শ্রোতাদের আকর্ষণ করা যেতে পারে। তদুপরি, Yoast SEO, Rank Math ইত্যাদি প্লাগইনের মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেসে কনটেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য সহজে অপ্টিমাইজ করা যেতে পারে।
- ইমেইল মার্কেটিংঃ ওয়ার্ডপ্রেসের ইন্টিগ্রেশন সুবিধার মাধ্যমে বিভিন্ন ইমেইল মার্কেটিং টুলস যেমন Mailchimp, Sendinblue ইত্যাদি সহজেই যুক্ত করা যায়। এসব টুল ব্যবহার করে অটোমেটেড ইমেইল ক্যাম্পেইন চালানো, সাবস্ক্রাইবারদের তালিকা তৈরি করা এবং রিসোর্স পূর্ণ ইমেইলগুলি পাঠানো সম্ভব।
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ ওয়ার্ডপ্রেস থেকে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় কনটেন্ট শেয়ার করার জন্য বিভিন্ন প্লাগইন আছে। Jetpack, Social Media Share Buttons, Social Snap ইত্যাদির মাধ্যমে সহজেই সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্টগুলি শেয়ার করা যায় এবং এর মাধ্যমে ট্রাফিক বৃদ্ধি করা সম্ভব।
ওয়ার্ডপ্রেস এসইও সার্ভিসেস
- অন-পেজ এসইওঃ ওয়ার্ডপ্রেসে অন-পেজ এসইও করার জন্য অসংখ্য প্লাগইন রয়েছে। যেমন Yoast SEO, Rank Math, All in One SEO Pack ইত্যাদি। এই প্লাগইনগুলো ব্যবহার করে মেটা ট্যাগ, মেটা ডিসক্রিপশন, কিওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশন, কন্টেন্ট অডিট এবং অন্যান্য এসইও সম্পর্কিত কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
- টেকনিক্যাল এসইওঃ ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে সাইটম্যাপ তৈরি, robots.txt ফাইল আপডেট, SSL সনদ সংযুক্তকরণ, এবং ওয়েবসাইটের গতি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্লাগইন ব্যবহৃত হতে পারে। টেকনিক্যাল SEO এর সাহায্যে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিং উন্নত করা সম্ভব।
- ব্যাকলিংকিং এবং অফ-পেজ এসইওঃ ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে সহজে ব্যাকলিংক তৈরি করা যায়। এছাড়া সোশ্যাল বুকমার্কিং, গেস্ট পোস্টিং, এবং অন্যান্য অফ-পেজ এসইও কার্যক্রমের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের অথরিটি বাড়ানো সম্ভব।
বর্তমান বিশ্বে ওয়ার্ডপ্রেসের গুরুত্ব
ওয়ার্ডপ্রেস বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) হিসেবে পরিচিত। প্রায় ৪৩% ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা চালিত, যা এটিকে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য টুলে পরিণত করেছে। ওয়ার্ডপ্রেসের মূল কারণ হলো এর সহজ ব্যবহার, নমনীয়তা, এবং অসংখ্য প্লাগইন ও থিমের সমৃদ্ধ লাইব্রেরি।
এটি ব্যবহারকারীদের কোন কোডিং জ্ঞান ছাড়াই পেশাদার ওয়েবসাইট তৈরি করতে সক্ষম করে, যা ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে বৃহৎ কর্পোরেশন পর্যন্ত সকলের জন্য আদর্শ। বর্তমান ডিজিটাল বিশ্বে, প্রতিটি ব্যবসার জন্য একটি শক্তিশালী অনলাইন উপস্থিতি অপরিহার্য। ওয়ার্ডপ্রেস এই প্রয়োজনীয়তাকে সহজ ও সাশ্রয়ী করে তুলেছে।
এটি একটি ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম, যার ফলে ব্যবহারকারীরা নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায়ী ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করতে পারে। এছাড়াও, ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ই-কমার্স সাইট, ব্লগ, নিউজ পোর্টাল, এবং পোর্টফোলিও সাইট খুব সহজেই তৈরি করা যায়, যা ব্যবসায়িক সুযোগ বৃদ্ধি করে। ওয়ার্ডপ্রেসের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) সক্ষমতা।
এর বিল্ট-ইন ফিচার এবং বিভিন্ন প্লাগইন ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং উন্নত করা সম্ভব। এটি ব্যবসার সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চ র্যাঙ্কিং মানেই বেশি ট্র্যাফিক, যা বিক্রয় বৃদ্ধি করে। "ওয়ার্ডপ্রেস শিখে যেভাবে অনলাইনে আয় করবেন" এই বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
আজকের বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন ব্যবসায়ে ওয়ার্ডপ্রেস দক্ষতা একটি বড় সম্পদ। ওয়ার্ডপ্রেসের সাহায্যে ফ্রিল্যান্সাররা ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ডিজাইন, এবং মেইনটেনেন্স সেবা প্রদান করে আয় করতে পারে। এছাড়াও, ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা চালিত ওয়েবসাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, কনটেন্ট ক্রিয়েশন এবং বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা যায়।
ওয়ার্ডপ্রেসের এই বহুমুখিতা এবং শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্তমান বিশ্বে এর গুরুত্ব অপরিসীম করে তুলেছে।
লেখকের মন্তব্য
ওয়ার্ডপ্রেস একটি অত্যন্ত সহজ ও কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম, যা ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইট ও ব্লগ তৈরি এবং পরিচালনা করতে সাহায্য করে। এর ওপেন সোর্স প্রকৃতি ও বিশাল থিম ও প্লাগইনের সংস্থান এটিকে অত্যন্ত জনপ্রিয় করে তুলেছে। এটি কোডিং জ্ঞান ছাড়াই ব্যবহার করা যায় এবং বিশ্বব্যাপী একটি সক্রিয় কমিউনিটি সমর্থন প্রদান করে।
এর নমনীয়তা ও কাস্টমাইজেশন সুবিধার কারণে, এটি যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইটের জন্য উপযুক্ত। এভাবে, ওয়ার্ডপ্রেস ডিজিটাল উপস্থিতি গড়ার জন্য একটি শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত টুল হিসেবে বিবেচিত হয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url