কালবৈশাখী ঝড় কেন হয়, বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস

কালবৈশাখী ঝড় কেন হয় এবং বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস কিভাবে দেওয়া হয় এ সম্পর্কিত ধারণা খুব স্পষ্টভাবে পাবেন আজকের এই আর্টিকেল এ। এ সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে যদি জানতে চান আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

কালবৈশাখী ঝড় কেন হয়, বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস

প্রতি বছর আমরা কালবৈশাখী ঝড়ের সম্মুখীন হয় এবং মনের অজান্তেই প্রশ্ন জাগে কালবৈশাখী ঝড় কেন হয় আর বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস আমরা কিভাবে পাই? এ সম্পর্কিত তথ্য আজকে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে তাই দ্রুত মূল আলোচনায় চলে জান।  

কালবৈশাখী ঝড় কেন এবং কখন হয়? 

কালবৈশাখী ঝড় সাধারণত বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিবঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যা, আসাম, প্রভৃতি স্থানে মার্চ-এপ্রিল মাসে সাধারণত বিকাল ও সন্ধ্যার দিকে সংঘটিত হয়। মাঝে মধ্যে সকাল কিংবা ভোর রাতেও কালবৈশাখী ঝড় সংঘটিত হতে দেখা যায়।


বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল ও মে মাসে গ্রীষ্মকাল এলেই একটি পরিচিত ও ভীতিকর প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম কালবৈশাখী ঝড়। এই সময় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তীব্র বাতাস, বজ্রপাত, মেঘ-বিদ্যুৎ ও কখনো শিলাবৃষ্টি হয় এর ফলে কৃষি ও জনজীবনে বিশাল প্রভাব পড়ে। 

এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ প্রধানত বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব। এর প্রভাব বাংলাদেশেও ব্যাপক। 

আরও পড়ুনঃ বিশ্ব উষ্ণায়নের(Global Warming) রেকর্ডে অ্যামাজন রেইনফরেস্টে খরা সৃষ্টি। 

কালবৈশাখী ঝড় কেন হয় এর বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও এর পিছনের প্রকৃত কারণগুলো নিচে দেওয়া হল, 

গরম ও ঠান্ডা বাতাসের সংঘর্ষ

কালবৈশাখী ঝড় বলতে মূলত যেটা বোঝায় সেটি হল মূলত স্থানীয়ভাবে গঠিত বজ্রঝড়। গ্রীষ্মকালের সময় বাংলাদেশের ভূমি প্রচণ্ড রোদে তাপে উত্তপ্ত হয়ে যায় যার ফলে নিচের স্তরে গরম ও হালকা বাতাসের সৃষ্টি হয়। এই গরম বাতাস যখন দ্রুত উপরের দিকে উঠতে থাকে তখন ওপরে থাকা ঠান্ডা ও ভারী বাতাসের সঙ্গে এর সংঘর্ষ হয় যার ফলে বজ্রঘন মেঘ (Cumulonimbus) তৈরি হয়, যা থেকে কালবৈশাখী ঝড় সৃষ্টি হয়।

নিম্নচাপ ও উচ্চচাপ বলয়ের গঠন

সচরাচর বিকালের দিকে যখন ভূমির তাপমাত্রা বেড়ে যায়, তখন সেখানে নিম্নচাপ তৈরি হয় এর ফলে কাছাকাছি অঞ্চলের ঠান্ডা বাতাস (যেমন বঙ্গোপসাগরের দিক থেকে আসা) তখন এই নিম্নচাপ পূরণ করতে চলে আসে।  এই উচ্চচাপ ও নিম্নচাপের যখন পার্থক্য তৈরি হয় তখন প্রবল বেগে বাতাস বয়ে যায়, যা কালবৈশাখীর মূল রূপ নেয়।

আর্দ্রতা ও জলীয় বাষ্প

বসন্ত-গ্রীষ্মকালের সময় বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকে। যখন গরম বাতাস উপরে উঠে ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আসে তখন জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বজ্রঘন মেঘে পরিণত হয়। এই ঘনীভবন থেকেই প্রচুর শক্তি নির্গত হয় যা তখন বজ্রপাত, প্রবল দমকা হাওয়া বা কখনো শিলাবৃষ্টি তৈরি করে।

অস্থায়ী ঘূর্ণিবাতাস

কালবৈশাখী ঝড়ের অনেক সময় ঝড়ের সম্মুখভাগে প্রবলবেগে নিচের দিকে বয়ে আসা ঠান্ডা হাওয়া ভূমিতে আঘাত হানে এবং সেখান থেকে চারদিকে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে এর ফলে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া সৃষ্টি হয়।

কালবৈশাখী ঝড় নির্দিষ্ট সময়ে অর্থাৎ মার্চ-এপ্রিল-মে এর মধ্যে হওয়ার কারণ

মার্চ থেকে মে অর্থাৎ গ্রীষ্মের শুরুর দিকে বাংলাদেশে তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি হয় তাই স্থলভাগ প্রচণ্ড উত্তপ্ত থাকে এবং বাতাসে আর্দ্রতাও বেশি থাকে কারণ এই সময়ে বর্ষা শুরু হয়নি এই পরিস্থিতি বজ্রঘন মেঘ তৈরির জন্য আদর্শ। এই ঋতুতে সূর্যের অবস্থান বিষুবরেখার কাছাকাছি থাকে যার ফলে উত্তাপও বেশি থাকে।  

কালবৈশাখী ঝড়ের বৈশিষ্ট্য

কালবৈশাখী ঝড়ের সাধারণত কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় যেমন, এর সময়কাল বিকাল বা সন্ধ্যাবেলা, এর স্থায়ীত্ব অল্প সময়ের জন্য ঘটে(১৫–৩০ মিনিট) কিন্তু এর প্রভাব তীব্র, এর  বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০–১২০ কিমি পর্যন্ত হতে পারে, উপসর্গ হিসেবে বজ্রপাত, দমকা হাওয়া, শিলাবৃষ্টি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসেবে ঘরবাড়ি ভেঙে পড়া, গাছপালা উপড়ে যাওয়া, কৃষির ক্ষতি ইত্যাদি হয়। 

বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস যেভাবে দেওয়া হয়

আমরা জানলাম কালবৈশাখী ঝড় কেন হয় এখন জানব বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস যেভাবে দেওয়া হয় তার ধাপে ধাপে বিশ্লেষণ,

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কাজ 

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের স্থাপনা রয়েছে। এগুলর কাজ হচ্ছে  প্রতিনিয়ত তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুর গতি ও দিক, বায়ুমণ্ডলের চাপ, মেঘের গঠন ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করা বিশেষ করে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত এই তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে বোঝা যায় কোন অঞ্চলে বজ্রঘন মেঘ (Cumulonimbus cloud) তৈরি হচ্ছে কিনা।

রাডার ও স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণ  

  • স্যাটেলাইট (Satellite) ব্যবহার করে মেঘের উচ্চতা, আকার ও গতিপথ নির্ধারণে উপগ্রহ চিত্র পাওয়া যায় এবং INSAT ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক আবহাওয়া উপগ্রহ থেকে তাৎক্ষণিক ছবি পাওয়া যায়। 
  • বর্তমানে ঢাকা, রংপুর, মৌলভীবাজার ও কক্সবাজারে ডপলার রাডার রয়েছে। এই রাডার দিয়ে বোঝা যায় মেঘে জলীয় বাষ্পের ঘনত্ব কত, এবং কোন দিকে অগ্রসর হচ্ছে। 

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পূর্বাভাস নির্ধারণ 

  • (Numerical Weather Prediction (NWP) Model) মানে কম্পিউটার সফটওয়্যার ও আবহাওয়া মডেল ব্যবহার করে বিভিন্ন উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য অবস্থান, ঝড়ের দিক ও তীব্রতা গণনা করা হয়।
  • Thunderstorm Index & Convective Available Potential Energy (CAPE) Value বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা যায় বাতাস কতটা সহিষ্ণু বা ঝড় তৈরির জন্য উপযুক্ত এক্ষেত্রে CAPE বেশি হলে বজ্রঝড় এবং কালবৈশাখীর সম্ভাবনা থাকে। 

পূর্বাভাস প্রকাশ ও প্রচার

  • ঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে আবহাওয়া অধিদপ্তর ২৪–৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে সতর্কবার্তা দেয় এছাড়াও ঘন ঘন আপডেট দিয়ে বুলেটিন প্রকাশ করে থাকে। 
  • প্রচারের মাধ্যম হিসেবে টেলিভিশন ও রেডিও ব্যবহার করে জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে পূর্বাভাস প্রচার করা হয়। 
  • মোবাইলে SMS এর মাধ্যমে BMD ও মোবাইল অপারেটররা মিলে মোবাইল ব্যবহারকারীদের মোবাইলে বার্তা পাঠায়।
  • মসজিদের মাইকের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরাসরি প্রচারণা চালানো হয়। 
  • মোবাইল অ্যাপস ও সোশ্যাল মিডিয়া যেমন BMD অ্যাপ ও ফেসবুক পেজ থেকে পূর্বাভাস দেওয়া হয়। 

 স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ভূমিকা

  • ডিসি ও ইউএনও'দের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জনগণকে সতর্ক করা হয় এবং স্কুল, আশ্রয়কেন্দ্র ও সাইক্লোন শেল্টারগুলো খুলে দেওয়া হয়। 
  • ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি হিসেবে CPP) ও স্বেচ্ছাসেবক দল মাঠে কাজ করে। 

কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাব

মনের ভেতর যেমন প্রশ্ন জাগে কালবৈশাখী ঝড় কেন হয় বা বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস কিভাবে দেওয়া হয় তেমনি এ ঝড়ের প্রভাব সম্পর্কেও অনেকের প্রশ্ন থাকে। কালবৈশাখী ঝড়ের ফলে ধ্বংসাত্মক তীব্র বাতাসের প্রবাহ সৃষ্টি হয় যা উষ্ণতা হ্রাস করে এবং ঘূর্ণনশীল প্রবাহে বয়ে চলে। 

কালবৈশাখী ঝড় কেন হয়, বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস

সাধারণত ঝড়ের গতি ৪০-৮০ কি.মি. হয় কিন্তু কখনও কখনও তা ১২০ কি.মি. বা তারও অধিক হয়ে যেতে পারে। এ ঝড়ের কারণে গাছপালা, পশু, পাখি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং মানুষের জীবনও প্রভাবিত হয়। প্রাণহানি, বসতিবিহীনতা ও শিলাবৃষ্টির কারণে জীবনযাত্রার ব্যাহত হওয়া লক্ষ্য করা যায়।

এ ঝড়ের প্রভাবসমূহ নিচে বর্ণনা করা হল, 
  • কালবৈশাখী ঝড়ে প্রাণহানি অনেক ঘটে যেমন ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী টর্নেডো যা ১৯৮৯ সালে সংঘটিত হয় সে সময় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছিল এবং ২০০১ সালে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে বজ্রপাতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
  • কালবৈশাখী ঝড়ের সময় শিলাবৃষ্টি ও প্রবল বাতাসের কারণে ধান, পাট ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয় কিন্তু কখনও কখনও এই ঝড়ের বৃষ্টিপাত  ফসলের জন্য উপকারীও হতে পারে। ​
  • কালবৈশাখী ঝড়ের সময় প্রবল বাতাস ও শিলাবৃষ্টিতে ধান, গম, ভুট্টা, পাটসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফসল নষ্ট হয়ে যায় বিশেষ করে এপ্রিল-মে মাসে বোরো ধান কাটার সময় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। 
  • মৌসুমী ফল যেমন আম, কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি নষ্ট হয়ে যায়।
  • সবজি গাছ যেমন পেঁপে, লাউ, টমেটো, বেগুন প্রভৃতি উপড়ে পড়ে।
  • গাছপালা, ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়ার কারনে অনেক মানুষ হতাহত হয় এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে বজ্রপাতের কারনে। 
  • ঝড়কবলিত এলাকাগুলোতে কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে বহু মানুষ অস্থায়ীভাবে গৃহহীন হয়ে পড়ে।
  • বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে যাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
  • যানচলাচল ব্যাহত গাছ উপড়ে সড়কে পড়ার কারনে। 
  • বহু পুরনো ও বড় গাছ ভেঙে পড়ার কারনে জীববৈচিত্র্যে হঠাৎ এক বিরূপ প্রভাব পড়ে।
  • এ সময় অতিবৃষ্টির ফলে নদীর পানি বেড়ে হঠাৎ প্লাবন সৃষ্টি হতে পারে। 

কালবৈশাখী ঝড়ের ক্ষতি প্রতিরোধে করণীয় ও প্রস্তুতি

মানুষের মনে প্রশ্ন থাকে কালবৈশাখী ঝড় কেন হয়, বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস কিভাবে দেওয়া হয় এর ক্ষতিকর প্রভাব কিরকম। এছাড়াও কালবৈশাখী ঝড়ের ক্ষতি প্রতিরোধে করণীয় ও প্রস্তুতি সম্পর্কেও মানুষের আগ্রহ থাকে অনেক। নিচে এর সম্পর্কে আলোচনা করা হল, 
  • প্রথমত আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা নিয়মিত অনুসরণ করুন।
  • আকাশে মেঘ জমা বা বাতাসের আচরণ পরিবর্তন লক্ষ্য করুন বিশেষ করে বিকেল বা সন্ধ্যায়।
  • ঝড়ের সময় ঘরের ভিতরে অবস্থান করুন, জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন এবং বাড়ির আশেপাশে থাকা দুর্বল গাছ বা বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে থাকুন।
  • জরুরি সরঞ্জাম হিসেবে টর্চলাইট, ব্যাটারি, প্রাথমিক চিকিৎসার কিট, পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার, পানীয় জল এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রস্তুত রাখুন।
  • কৃষি ও ফসল রক্ষায় ঝড়ের পূর্বাভাস বিবেচনায় রাখুন এবং শিলাবৃষ্টির কথা মাথায় রাখুন বিশেষ করে ফসল কাটার সময়।
  • বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখুন।
  • স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে অথবা স্কুল, কলেজ ও কমিউনিটি সেন্টারে সচেতনতামূলক কার্যক্রম আয়োজন করুন।

লেখকের মন্তব্য

কালবৈশাখী ঝড় কেন হয়, বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস উপরোক্ত শীর্ষক এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানতে পারলাম এই কালবৈশাখী ঝড় সম্বন্ধে। আপনাদের এই আর্টিকেল ভালো লেগে থাকলে কমেন্ট করবেন এবং পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করে পাশে থাকবেন, ধন্যবাদ।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url